কনের ইচ্ছায় হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন লালমনিরহাটের বর

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন লালমনিরহাটের বর’ আল আমিন মামুন। হঠাৎ আকাশ থেকে শব্দ করে হেলিকপ্টার নিয়ে মাদ্রাসা মাঠে নামলেন বর। মাথায় লম্বা মুকুট,শরীরে শেরওয়ানি পরে বীরবেশে হেলিকপ্টার থেকে তিন যাত্রী নিয়ে নামেন তিনি।

১৫ জুলাই সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বেংকাদা গ্রামের বর মোঃ আল আমিন মামুন নামের এক বর হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন। এ সময় বরের সঙ্গে হেলিকপ্টারে তার তিনজন আত্মীয় ছিলেন।

উৎসুক কয়েকশত গ্রামবাসী ওই হেলিকপ্টার উঠানামা ও বর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্য বরযাত্রীরা সড়ক পথে গাড়িতে আসেন।

লালমনিরহাট পাটগ্রাম থেকে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে কনের ইচ্ছায় হেলিকপ্টারে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে বর আসেন।

জানা গেছে, কিছুদিন আগেই লালমনিরহাটের পাটগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ আল আমিন মামুনের সঙ্গে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরসাক গ্রামের প্রবাসী আবুল খায়ের ও শিরিনা আক্তার শ্যামলীর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতির বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ ছিল ১৫ জুলাই সোমবার।

ঐদিন ভাড়া করা হেলিকপ্টারে করে আল আমিন মামুন তিনজন আত্মীয় নিয়ে মেয়ের বাড়ি শোরসাক ইসলামীয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় মাঠে নামেন। অন্য বরযাত্রীরা মাইক্রোবাসে চড়ে আসেন। এই প্রথম লালমনিরহাট বেংকাদা গ্রামের বর হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে আসায় ওই এলাকার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ লোক বরযাত্রী ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় করেন। এ সময় জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

কনের বাবা আবুল খায়ের বলেন,তার চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি এলাকার কয়েকশ গণ্যমান্য ব্যক্তিকে এ বিয়েতে দাওয়াত করেছেন। বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে তার মেয়েকে লালমনিরহাট বেংকাদা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন আল আমিন মামুন ।

মেয়ের চাচা ইউনিয়নের কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান জানান,আমার বড় ভাই আবুল খায়েরের মেয়েকে আত্মীয়স্বজন উপস্থিত থেকে ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি। শোরসাকের মধ্যে এই প্রথম হেলিকপ্টারে করে আমাদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি বরপক্ষ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়াতে আনন্দ লাগছে

হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বর আল আমিন মামুন বলেন, তার জীবনে ইচ্ছে ছিলো হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করবেন। অনেকটা শখ এবং কনেকে খুশি করতে হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে এসেছি। বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসা। এখন তার খুব আনন্দ লাগছে।

শাহরাস্তি থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে হেলিকপ্টার যোগে লালমনিরহাট থেকে শাহরাস্তির শোরসাক নুরানী ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিয়ে করতে আসেন এক ব্যবসায়ী। আমরা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

প্রতিবেদক: মো: জামাল হোসেন, ১৫ জুলাই ২০২৪

Share