চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে রক্ষা বাঁধে আবারো মেঘনার ভয়াভহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। রোববার সকাল ৯ টায় পুরাণবাজার হরিসভায় ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শনে যান চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।
তিনি পরিদর্শনে এসে বলেন, পুরাণবাজরকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষ করতে খুব দ্রুত কাজ করা হবে। এখনি ভাঙ্গন স্থানে জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ড্রামপিং করে বাধ ঠেকাতে হবে। ভাঙ্গন স্থানে পুনরায় সিসি ব্লক ফেলানো হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পাওয়ায় পরেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভাঙ্গনস্থানে জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ড্রামপিং করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় হরিসভা মন্দির এলাকায় নদীর পাড়ে আকস্মিকভাবে সিসি ব্লক দেবে গেছে। শহর রক্ষা বাঁধে আবারো ভয়াভহ ধসে বাঁধের সিসি ব্লক।
ভাঙ্গন আতঙ্কে বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার জায়গা খুঁজছে অসহায় পরিবারগুলো। ভয়াভহ ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স, রাস্তা, পশ্চিম শ্রীরামদী ও মধ্য শ্ররামদী আবাসিক এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাত্র ৬ মাষ পূর্বে শুষ্ক মওসুমে বাঁধের ভাঙ্গনের এ জায়গার ৯০ মিটার বাঁধ নতুন করে নির্মাণ এবং বালু,সিসি ব্লক ডাম্পিং কাজ করানো হয়। ছয় মাস না যেতেই সেই স্থানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় জনমনে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারের কাজে গাফলতির কারণে ছয় মাস না যেতেই সেই স্থানে এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানায়, পুরানবাজার হরিসভায় শহর রক্ষা বাঁধের ৯০ মিটার কাজের জন্য এক কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়। ঠিকাদার নূরু ৩০ এপ্রিল তার কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ছয় মাস পরেই আবার ভাঙ্গন দেখা দেয়। ঠিকাদারে কাজের বিলের মধ্যে ৭০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় সীমার পূর্বেই ভাঙ্গন দেখা দেওয়ার কারণে সেইে ঠিকাদারকে তার নিজের অর্থায়নে কাজ শেষ করবে। শুধু মাত্র জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ভ্রামপিং করাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড অর্থ ব্যয় করবে।
যে কোন মূহূর্তে ওই এলাকার বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। ভাঙ্গন স্থান রক্ষা করতে হলে এখনি সেখানে জরুরিু ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১০: ৩৩ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ