চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ বাঁধের ৫শ মিটার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শুস্ক মৌসুমে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে আসন্ন বর্ষায় হুমকির মুখে পড়বে চাঁদপুর শহর। বিশেষ করে ব্যবসা কেন্দ্র পুরানবাজার সবথেকে বেশি হুমকির মুখে রয়েছে।
চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ এ বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণে ১৬৫ কোটি টাকা অনুমোদন চেয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু বরাদ্দ মিলেনি। এমনকি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পুরানবাজারের জন্য নোটশিটের মাধ্যমে সাড়ে ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পাউবো কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ৩ হাজার ৩৬০ মিটার চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ বাঁধের মধ্যে ব্যবসা কেন্দ্র পুরানবাজারের ১ হাজার ৬৩০মিটার ও নতুনবাজারের অংশ ১ হাজার ৭৩০ মিটার। গত বর্ষায় পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় বাঁধে ভয়াবহ ধস দেখা দিলে তড়িঘড়ি কিছু বালুভর্তি বস্তা ও কংক্রিট ব্লক ফেলে প্রাথমিকভাবে রক্ষা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে আসন্ন বর্ষায় হুমকির মুখে পড়বে চাঁদপুর শহর। তাই শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নদীভাঙন প্রতিরোধ কমিটির চাঁদপুর দক্ষিণাঞ্চলের শাখা সভাপতি ফয়েজ আহমেদ মন্টু বলেন, গত বর্ষাতেই বাঁধ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এবার শুষ্ক মৌসুমে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ রক্ষা করার ব্যবস্থা না নিলে আসন্ন বর্ষায় ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবু রায়হান বলেন, চাঁদপুর জেলা শহর একটি নদীভাঙন কবলিত এলাকা। এ ভাঙন রোধে ৩ হাজার ৩৬০ মিটার চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প ইতোপূবেই শেষ হয়েছে। গত বর্ষায় সাড়ে ৪শ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে বর্ষাকালীন সময়ে ইমার্জেন্সি কাজ করে আড়াইশ মিটার রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ অর্থবছরের শুরুতেই বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণে ১৬৫ কোটি টাকা অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ মেলেনি। এমনকি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র পুরানবাজারের জন্য নোটশিটের মাধ্যমে সাড়ে ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েও পাওয়া যায়নি।
বর্ষার আগেই চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ বাঁধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত বরাদ্দ দেবে বলে প্রত্যাশা চাঁদপুরবাসীর।(জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ
২৪ জানুয়ারি,২০১৯