Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর শহর বিএনপিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বের অপেক্ষায় তৃণমূল
চাঁদপুর শহর বিএনপিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বের অপেক্ষায় তৃণমূল

চাঁদপুর শহর বিএনপিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বের অপেক্ষায় তৃণমূল

চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়কের কাছে তাদের প্রত্যাশা যাতে কাউন্সিলের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন হয় নতুন নেতৃত্ব।

সম্ভাব্য চাঁদপুর পৌর বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণ চঞ্চলতা ফিরছে। তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব নির্র্বাচনের জন্য এখন দিনক্ষনের অপেক্ষায়।

মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বলছে, দেশনেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থাকবে এমন নেতৃত্বই সম্ভাব্য পৌর বিএনপির কাউন্সিলে নির্বাচিত হবে। কাউন্সিরের মধ্যে দিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের নেতৃত্বে সাংগঠনিকভাবেই গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখার প্রত্যয় রয়েছে কর্মীদের।

এদিকে গত ২০০৯ সালের চাঁদপুর পৌর বিএনপির কাউন্সিলরের পর নতুন নেতৃত্ব চায় তৃণমূল কর্মীরা। তবে সাংগঠনিক দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই বলেই তারা অতীতের ন্যায় গণতান্ত্রিক ধারায় নেতা নির্বাচন করতে চায়। যাতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকে নির্বাচিত নেতারা। এজন্যই সাবেক ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ণ করতে চান তারা।

তবে সম্ভাব্য কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এমনটাই জানিয়েছে। তবে সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তথা কাউন্সিলের মাধ্যমেই হবে।

চাঁদপুর পৌর বিএনপি সাংগঠনিক দায়িত্ব অনেকটাই তারুণ্য নির্ভর একটি দক্ষ টিমের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা তাদের। যাতে আগামি দিনের জেলা বিএনপির সম্ভাব্য নেতৃত্ব তৈরি হয় এই পৌর কমিটি থেকেই।

চাঁদপুর পৌর বিএনপির সম্ভাব্য কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধীক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও তারা শেষ পর্যন্ত নেতৃত্বে আসতে চাননা বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

তাবে তাদের ঘনিষ্ঠজনরা দাবি করেছেন, দলের চেয়ারপার্সন পরবর্তী সরকার বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিলে যাতে নতুন কোন মামলার মুখোমুখি হতে না হয়, এজন্যই বেশ কয়েকজনই নেতা আপাতত রাজনীতি থেকে দুরে থাকতে চাচ্ছেন বলে জানান।

তবে এমন দাবির প্রেক্ষিতে অনেকেই প্রতিবেদককে কৌশলে নিজদের জবাব দিয়েছেন। আবার তাদের কেউ কেউ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করেছেন।

সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাড. সেলিম উল্যাহ সেলিম জানান, ‘বিএনপির কর্মী হয়ে থাকতে চাই। আপাতত কোন পদ পদবিতে থাকার কোন ইচ্ছে নেই।’

তবে তিনি যে কোন সময়ে রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিবেদককে।

সভাপতি প্রার্থী মুনির চৌধুরী জানান, বর্তমানে পৌর বিএনপির নেতৃত্বে আসার কোন ইচ্ছে তার নেই তবে দলের প্রয়োজনে যেকোন জায়গায় কাজ করতে প্রস্তুত আছেন।

আরেক প্রার্থী সেলিমুছ সালাম জানান, পারিবারিকভাবে ঢাকাতে অবস্থান করায় এবং বয়স বিবেচনায় বর্তমানে দলের কোন পদে যাওয়ার তার ইচ্ছে নেই।

পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক চাঁসক ভিপি আক্তার হোসেন মাঝি জানান, দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করায় নেতাকর্মীদের দাবিতেই সম্ভাব্য কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী হবেন। তবে তার সমর্থকরা বলছে, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার সুবাধে নেতাকর্মীদের কাছে থাকায় আক্তার মাঝিই সম্ভাব্য সভাপতি হবে পৌর বিএনপির।

অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধীক প্রার্থীর মাঝে অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ জানান, পৌর বিএনপিতে দায়িত্ব পালন করতে তিনি আগ্রহী নন। এবং প্রকাশিত সংবাদে যাতে তাকে প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে দেখানো না হয়।

অপর প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও সাবেক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর খান জানান, পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে চান তিনি। তবে পৌর বিএনপির যৌথ সভায় যে কোন সিদ্ধান্ত হলে তার আলোকেই দলের নেতৃত্ব চান তিনি।

সদ্য বিদায়ী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল জানান, ‘তৃণমূল থেকে বিএনপির রাজনীতি করছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামি দিনের বিএনপির কান্ডারী তারেক রহমানের জন্য। বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে পৌর বিএনপিকে শক্তিশালী করতে এবং নেতাকর্মীদের দাবিতে সম্ভাব্য কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলকে শক্তিশালী করতে অতীতের ন্যায় কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।’

তবে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানান, আক্তার মাঝি ও কাজী মোহাম্মদ জুয়েলের নেতৃত্ব অনেকটা তারুণ্য নির্ভর তাই তাদের নেতৃত্বে পৌর বিএনপিতে প্রয়োজন। যাতে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে দু’জনকে একসাথে পাওয়া যাবে তেমনি জেলা আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে আগামি দিনের জেলা বিএনপি আরো শক্তিশালী হবে।

চাঁদপুর পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন প্রত্যাশার সব কিছুই নির্ভর করছে সম্ভাব্য কাউন্সিলকে ঘিরে। তবে চলমান রাজনীতির পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে দক্ষ ও ত্যাগী নেতৃত্বের বিকল্প নেই বলেও তারা মন্তব্য করেন।

চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়কের কাছে তাদের প্রত্যাশা যাতে কাউন্সিলের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন হয় নতুন নেতৃত্ব।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :আপডেট :০৬পিএম,  ফেব্রুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার

ডিএইচ