চাঁদপুর

মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে : জোয়ারে চাঁদপুর শহর প্লাবিত

পূর্ণিমার প্রভাব কেটে গেলেও দক্ষিণা বাতাসে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে পদ্মা-মেঘনা। যার ফলে চাঁদপুরে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জোয়ারে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ।

৫ জুলাই বুধবার দুপুরের পর থেকেই জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। বিকেল গড়াতেই চাঁদপুর শহরের মেঘনা-ডাকাতিয়ার তীরবর্তী পুরাণবাজার হরিসভা, নিতাইগঞ্জ, রয়েজ রোড়, লোহার পোল, ঘোষপট্টি, নতুনবাজারের পাল বাজার, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু সমান পানি উঠে যায়। কোনো কোনো আবাসিক এলাকার পানিবন্ধি হয়ে সেখানকার মানুষজন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যার শঙ্কা থাকলেও চাঁদপুর শহর অঞ্চলের মেঘনার পানি জোয়ারে বাড়ে এবং ভাটায় নেমে যায়। তাই এখানে বন্যার পানি স্থিতিশীল থাকছে না।

এদিকে পদ্মা-মেঘনার পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলসহ নদীর পাড়ের মানুষগুলো আছেন অনেক কষ্টে। উত্তাল পদ্মা-মেঘনার প্রভাবে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর, ইব্রাহীমপুরের আলুর বাজার, হাইমচর উপজেলার ঈশানবালার বসবাসরত চরবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। ইতোমধ্যেই উল্লেখিত এলাকার ৫শতাধিক পরিবার ভাঙনের মুখে বসতভীটে হীন হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার জানান, পূর্ণিমার প্রভাব দুদিন আগে কেটে গেল এখন দক্ষিণা বাতাস বইছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদপুর মেঘনায় বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ভাঙ্গন মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

তিনি আরো জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ দীর্ঘদিন সংস্কার না করায়, বর্ষা মৌসুম এলেই প্রচন্ড পানির চাপে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। তবে শহর রক্ষা বাঁধের হরিসভা ও মোলহেড সংলগ্ন পাইলট হাউস এলাকায় ভাঙ্গন মোকাবেলায় বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম, ৫ আগস্ট ২০২০

Share