চাঁদপুর

চাঁদপুর শহরে রাইস মিলের ধোঁয়া ও ছাইয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে রাইস মিলের ধোঁয়া ও ছাই পরিবেশ মারাত্মকভাবে নষ্ট করছে। বিশেষ করে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও আবাসিক এলাকার জনগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উড়ন্ত ছাই এসে চোখেমুখে পড়ছে পথচারীদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছ-গাছালি এবং আবাসিক এলাকার বসতবাড়ির চালায় ছাই পড়ে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রাইস মিল অনুমোদনের আগে ধোঁয়া ও ছাই সরানোর স্লাইক্লোন প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অনেক মিল মালিক তা করেননি। আর যারা করেছেন তারাও বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে তা বন্ধ রাখছেন।

বর্তমান ধান ক্রাশিংয়ের ভরা মৌসুমে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ ব্যাপারে বহু আন্দোলন করে পরিবেশ অধিদফতর সভা-মিটিং করে বার বার সতর্ক করলেও মিল মালিকরা কোনো কর্ণপাত করছেন না।

চাঁদপুর শহরেই ১৫টি রাইস মিল আছে। এর মধ্যে ১২টি রাইস মিলই পুরানবাজারে। ১২টির মধ্যে পুরানবাজার ঐতিহ্যবাহী ডিগ্রি কলেজের পাশেরই মেসার্স ময়নামতি ও চাঁদপুর রাইস মিলের ধোঁয়া ও ছাই অপসারণে নেই কোনো সাইক্লোন প্রযুক্তি। বাকি রাইস মিলে ধোঁয়া ও ছাই অপসারণে সাইক্লোন প্রযুক্তির মেশিন থাকলেও বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে তারাও মেশিনগুলো বন্ধ রাখছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার জানান, ‘রাইস মিলের ধোঁয়া ও ছাই পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করলেও পরিবেশ অধিদফতর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ছাই পড়ে শ্রেণিকক্ষের টেবিল চেয়ার, কলেজের বাগান ও আঙিনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন কয়েকবার পরিষ্কার করলেও লাভ হচ্ছে না। আমার কলেজের ৪ হাজার ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যায় পড়ছে। ছাই পড়ে তাদের চোঁখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

পরিবেশ অধিদফতর চাঁদপুরের সিনিয়র কেমিস্ট কাজী সুমন জানান, ‘রাইস মিল মালিকদের সভায় ডেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। যদি তারা এসব সিদ্ধান্ত না মানে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ (জাগো নিউজ)

বার্তা কক্ষ
১৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৯

Share