চাঁদপুর শহরে দুটি সড়কে গর্ত আর ধুলায় চরম ভোগান্তি

চাঁদপুর শহরের দুটি সড়কে প্রচন্ড ধুলো বালিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে শহরবাসী। আর প্রতিনিয়ত ধুলো বালি উড়তে থাকা দুটি সড়ক হলো, মরহুম আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়ক এবং নিউ ট্রাকরোড।

এই দুটি সড়কসহ শহরের কয়েকটি সড়কের পুনঃসংস্কারের অসম্পন্ন কাজে ধুলো বালিতে এমন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শহরবাসি। যখনই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে, তখনই সড়কে থাকা ধুলো বালি উড়ে কুয়াসার মতো অন্ধকার হয়ে পড়ে। সেই ধুলো বালি উড়ে গিয়ে পথচারী ও যাত্রী সাধারণের চোখে মুখে পড়ে। এমন দুর্ভোগ নিয়ে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষরা প্রায় সময় নানা মন্তব্য করতে শুনা গেছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক গুলোর সংস্কারের কাজ চলমান থাকায় প্রতিনিয়ত ধুলো বালি উড়ার কারনে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।

তবে বিশেষ করে মরহুম আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কের বাসস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে ঘোষ পাড়া এবং নিউ ট্রাক রোডের মিশন রোড রেলক্রসিং থেকে ফায়ার হাউজ বালুর মাঠ পর্যন্ত ধুলো বালির এই ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ধুলো বালিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পথচারী ও সড়কের পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, গত কয়েক মাস পূর্বে চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাকরোড, মরহুম আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়ক, হাজী মহসিন রোড, পালপাড়া, চেয়ারম্যান ঘাটা জিটি রোড সহ বিভিন্ন সড়ক গুলো পুনঃসংস্কারের কাজ শুরু করেন চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। একই সাথে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সড়ক গুলোও প্রশস্তকরন সহ পুনঃসংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের অভিমত কাজের অগ্রগতি কম থাকায় ধুলো বালিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। সড়কের এসব সংস্কার কাজ করতে হলে একদিকে যেমন দ্রুত গতিতে কাজ করতে হয়।

অন্যদিকে ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে কাজের স্টেমিটে বেকাপ দেয়ার জন্য বিষয়টি ধরা থাকে। কিন্তু চাঁদপুর পৌরসভা তেমন কোনো ব্যবস্থাই গ্রহন করেননি। তারা মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কচ্ছপ গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে এমনটাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

তাই তাদের দাবি চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক গুলোর এমন অসম্পন্ন কাজ গুলো দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করে এমন দুর্ভোগ থেকে অচিরেই মুক্তি পেতে চান তারা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শামছুদ্দোহা বলেন, শহরের রাস্তার কাজ করতে গিয়ে স্টীটে পানি দেয়ার এসব ধরা থাকেনা। তবুও আমাদের নিজেদের উদ্যোগে কয়েকদিন ট্রাকে করে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমারা চেষ্টা করবো আবারো নিয়মিত পানি দেয়ার জন্য।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ২০ নভেম্বর ২০২৪

Share