চাঁদপুর

চাঁদপুর শহরে গাজী সড়কের বেহাল দশা : ড্রেন স্থাপনের দাবি এলাকাবাসীর

জোয়ার ভাটা, বন্যা ও বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারনে চাঁদপুর পৌরসভাধীন ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের গাজী সড়কের রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। রাস্তাটির উপরে স্থানীয়রা কংঙ্কৃট দেওয়ায় বন্যার পানি থেকে রক্ষা হলেও বর্তমানে চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।

এছাড়াও রাস্তাটি নিচু হওয়ায় পাশের পুকুরের পানি থাকে সব সময় রাস্তার সমান। পানি পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য অতি দ্রুত রাস্তার পাশে ড্রেন স্থাপনের জন্য পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

তবে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র বরাবর রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরে একটি আবেদন করা হয় বলে জানা যায়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিউ ট্রাকরোড হতে পূর্ব দিকে ডাকাতিয়া নদীর পাড় পর্যন্ত তেমন কোন রাস্তা ছিল না। কয়েক বছর পূর্বে চাঁদপুর পৌরসভার ঐকান্তিক চেষ্টায় একটি পাকা রাস্তা করা হয়। বর্তমানে রাস্তাটির ও বেহাল দশা। আর এই এলাকায় যে সকল জলাশয় ছিল তাহা অধিকাংশই ভরাট হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টির পানি ও বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা রাস্তার পাশে ফেলার কারনে জনসাধারনের চলাফেরায় অনেক অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এই এলাকার বাসিন্দাগণ নিয়মিত পের কর পরিশোধ করে আসছি। তাই বৃষ্টির পানি ও ময়লা আবর্জনা নিষ্কাশনে রাস্তার পাশে একটি পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেন নির্মান করা একান্ত প্রয়োজন।

স্থানীয় মোঃ মোক্তার মিজি, মোঃ আবুল হাশেম, মোঃ রফিক বকাউল, মোঃ সলেমান তালুকদার, মনির তালুকদার, সুমন গাজীসহ কয়েকজন জানায়, রাস্তটি বর্তমানে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টির পানি ও বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা রাস্তার পাশে ফেলার কারনে জনসাধারনের চলাফেরায় অনেক অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।

তারা আরও জানায়, রাস্তাটি নিচু হওয়ায় পাশের পুকুরের পানি থাকে সব সময় রাস্তার সমান। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় ময়লা পানি জমে যায়। জরুরী ভিত্তিতে বৃৃষ্টির পানি ও ময়লা আবর্জনা নিষ্কাশনে রাস্তার পাশে একটি পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেন নির্মান করা প্রয়োজন বলে তারা দাবী জানান।

পৌর মেয়রের বরাবর পানি পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মানে লিখিত আবেদনটি গ্রহন করা হলেও দীর্ঘ ৬ বছরের মধ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে সমাধানে কোন উত্তর না পাওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদক:মাজহারুল ইসলাম অনিক,৮ সেপেটম্বর ২০২০

Share