চাঁদপুর শহরের যানবাহন চলাচলের ও জনগুরুত্বপূর্ন প্রধান সড়কগুলো এখন নতুন ভবন নির্মাণাধীন মালিকদের দখলে।
দীর্ঘদিন ধরে শহরের অধিকাংশ সড়কগুলোর পাশে নতুন ভবন তৈরির নির্মান সামগ্রী রেখে কতিপয় বাড়িওয়ালারা তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে।
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় একের পর এক গড়ে উঠছে ছোট বড় অসংখ্য ভবন।
এসব ভবনের নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ইট, বালু, রড, সিমেন্ট, পাথর, কংক্রিট, কাঠ, বাঁশসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাস্তায় ফেলে রেখে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
তবে বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে দেখা যায় চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের শ্রী শ্রী রাম কৃষ্ণ আশ্রম সংলগ্ন একটি বহুতল ভবন নির্মান কাজ করতে গিয়ে তারা শহরের এ ব্যস্ততম সড়কের দু’পাশে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে তাদের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সড়কের দু’পাশে এসব নির্মান সামগ্রী ফেলে রাখার কারনে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা।
এসব সামগ্রী রাখার কারনে প্রতিদিনই সড়কের ওই স্থান হতে ছায়াবাণী মোড় এবং মিশন রোডের মোড় পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। এর পাশাপাশি স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র- ছাত্রী ও পথচারীরা ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছেন না বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
তাই এসব নির্মন সামগ্রী ফেলে পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে প্রায়ই শহরে দীর্ঘ যানজটের কারন বলে জানান অনেকে। সড়কের পাশে এসব নির্মান সামগ্রী রাখতে গিয়ে তার পাশে থাকা খ্রীস্টিয়ানদের বাউন্ডারির দেয়াল ফেটে গেছে সরজমিনে গিয়ে তা দেখা যায়।
শুধু শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কই নয় এর পাশাপাশি শহরের বেশির ভাগ পাড়া মহল্লার চিত্রও একইরকম । এরমধ্যে হাজী মহসীন রোড , নতুন বাজার, মরহুম আঃ করিম পাটওয়ারী সড়ক, পাল পাড়া, আলীম পাড়া, গুয়াখোলা, নাজির পাড়া একাধিক পাড়া মহল্লার সড়কগুলিতে যত্রতত্র ভবনের নির্মাণ সামগ্রী রেখে তারা তাদের ইচ্ছেমতো সড়কের পাশে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
চাঁদপুর শহরের বিভিন্নস্থানে সড়কের উপর নির্মান সামগ্রী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে শহরের অনেকটা যানজট কমে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। ভবন মালিকদের এমন অনিয়ম চলতে থাকলে আরো বেশি যানজট ও জনদুর্ভোগ পোহাতে হবে শহর বাসীদের।
এমন দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে ওইসব ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পৌর মেয়র ও প্রুশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
প্রতিবেদক-কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৪৮ পিএম ১৯ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ