পবিত্র মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদ উল-ফিতর উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সমস্যা এবং করণীয় সংক্রান্তে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চেম্বার অব কমার্স, ক্যাব চাঁদপুর, জুয়েলারী সমিতি দোকান মালিক সমিতি ও হকার্স মার্কেট বিভিন্ন বিষয়াদি কেন্দ্রিক বক্তব্যের আলোকে আলোচনায় সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) রাজন কুমার দাস, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, কমিউনিটি পুলিশ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এ কিউ রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক সুফি খাইরুল ইসলাম খোকন, ক্যাব সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, জেলা মার্কেটিং অফিসার এন এম রেজাউল করিম, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মমিন মিয়া, পৌর কমিউনিনি পুলিশের সভাপতি শেখ মনির হোসেন বাবুল।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট সমূহে পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হইবে। পাশাপাশি পুলিশের টহল ডিউটি সার্বক্ষনিক মোতায়েন থাকবে। জেএম সেনগুপ্ত রোড, হকার্স মার্কেট, হাকিম প্লাজা, মীর শফিং, পাল বাজার ও কালীবাড়ী এলাকায় সিভিল ও পোষাকে পুলিশ মোতায়েন রাখার জন্য চাঁদপুর মডেল থানা ও ডিবি‘ পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। রমাজনে ঈদ মার্কেট সবাই রাতে কেনাকাটা করে, তাই নিরাপত্তার জন্য মার্কেট কেন্দ্রিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। আমাদের সকলের প্রতি আহŸান জানাবো সচেতন হওয়ার জন্য। আপনারা প্রত্যেকে ঘটনার সাথে সাথে আমাদের জানান, যাতে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ তরতে পারি। আপনারা প্রত্যেকে দোকানগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগান, যাতে করে কোন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে আমরা খুজে বের করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, মাহে রমজান এবং আাসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাজারে যাতে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি না পায়। কেউ যদি রমজানে পঁচা, বাঁশি খাবার দেয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমরা সর্বাত্বক প্রস্তুত রয়েছে, মানুষের সেবার জন্য। মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর যাতে সুন্দর ভাবে কাটে তার জন্য সকলের সহযোগিতা কামরা করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালী উল্লাহ অলী, ডিবির অসি মো. নূর হোসেন মামুন, টিআই নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল মোস্তাফা, নতুনবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সমূহের মধ্যে : হকার্স মার্কেটসহ বড় বড় শপিং সেন্টার গুলিতে এবং মার্কেট সংলগ্ন রোডে/ মার্কেটের উভয় দিকে ব্যবসায়ীদের নিজ উদ্যেগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হইবে। সিসি ক্যামেরা থাকলে যারা অশুভ উদ্দেশ্যে নিয়ে মার্কেটে ঢুকে তারা অবশ্যই ভয় পাবে। যে সকল স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে ওই সকল স্থানে যাতে যানজট বা হকারমুক্ত থাকে তাহা নিশ্চিত করতে হইবে। প্রতিটি মার্কেটে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রাখতে হবে। প্রয়োজনে কমিউনিটি পুলিশকে এই কাজে সম্পৃক্ত করতে সভাপতি/সেক্রেটারী, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি, চাঁদপুরের সাথে যোগাযোগ করতে মার্কেট মালিকদেরকে অনুরোধ জানানো হলো।
মার্কেটগুলির সামনে যে সব ছেলেরা আড্ডা দেয় তাদের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হইবে।
প্রয়োজনে ওসি, চাঁদপুর মডেল থানা ও টিআই, চাঁদপুর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
হোটেল গুলি রাত্রিবেলা যেন বখাটেদের আড্ডাস্থলে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে হইবে। ওসি, চাঁদপুর ও ওসি,ডিবি, চাঁদপুর মাঝেমাঝে প্রতিটি আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলে অভিযান পরিচালনা করবেন।
চিত্রলেখার মোড়সহ যেখানে বেশী স্বর্ণের দোকান আছে ওই সকল এলাকায় বেশি করে টহলপার্টি টহল অব্যাহত রাখতে হবে।