চাঁদপুর

চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের হরিসভায় আবারো ভাঙ্গন : সরানো হয়েছে একাধিক বসতঘর

চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভায় আবারো মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় পুরান বাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স গেইট এলাকায় হঠাৎ করেই ভাঙন দেখা দেয়। নদী ভাঙ্গন দেখা দিলে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বসতঘর সরিয়ে নেন স্থানীয়রা।

হরিসভা এলকার শহর রক্ষাবাঁধের হরিসভা ঠোটার প্রায় ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে ব্লকবাঁধ নদীতে তলিয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সেখানে থাকা সুভাষ ঋষী, বুলু ঋষী, শ্যামল ও নারায়ন ঘোষের বসত ঘর জুড়ে ভাঙ্গনের ফাটল ধরে। এসময় তাদের ঘর গুলো ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া।

ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন রাতের মধ্যই তাদের বসতঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে ভাঙ্গনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বিপিএম (বার), পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল , পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, তমাল কুমার ঘোষ, প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হয়।

এসময় নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি তাৎক্ষনিক পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বিষয়টি অবগত করেন। ভাঙনে পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার বড় একটা অংশ নদীতে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, প্রায় ৪০ মিটার জায়গা থেকে শহর রক্ষাবাঁধের ব্লক ধেবে গেছে। আমরা খবর তাৎক্ষণিক ভাঙ্গন স্থানে ছুটে আসি এবং আমাদের কাছে স্টোকে থাকা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ এনে ভাঙ্গনস্থানে ফেলা শুরু করেছি।

প্রসঙ্গত, এর আগেও কয়েক দফা ভাঙনের শিকার হয় হরিসভা এলাকা। প্রতিবারই পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কাজ করেছেন। আবারও সেখানে ভাঙন শুরু হওয়ায় হরিসভা, মধ্যশ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকাটি এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।

প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

Share