চাঁদপুর

চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের ভাঙনস্থান পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর পুরানবাজারে শহররক্ষা বাঁধের মেঘনার ভাঙনরোধে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।

৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি পুরাতন ফায়ারসার্ভিস এলাকা সংলগ্ন নদী তীর এলাকায় ভাঙ্গনরোধে ডাম্পিং কাজ পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ৪ মার্চ রাতে হঠাৎ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পুরানবাজার অংশে ফাটল দেখা দেয়। ঢেউয়ের আঘাতে সেখানে বেশ কিছু অংশ নদীতে দেবে যায়। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সেখানে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধ রক্ষায় তাৎক্ষণিকভাবে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়। যা এখনো কাজ চলমান রয়েছে।

ইতিমধ্যে প্রায় ১১শ’৪৭ বস্তা জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আমাদের টার্গেট রয়েছে ১০ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলার। তবে এখানে অন্তত ৫০ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেললে এই এলাকাটিকে ভাঙ্গনরোধে প্রোটেকশন দেওয়া যাবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মেঘনার ভাঙন থেকে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ তথা পুরাণবাজাকে রক্ষায় যা যা করণীয় তাই করা হবে। এই এলাকা ভাঙ্গন রোধে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নতুন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অবগত করেছি। ‘নদীপাড় থেকে জেলে নৌকার নোঙরের আঘাতে বলি সড়ে যাওয়া খালি জিও ব্যাগ চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে’ উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহলের নজর রাখতে হবে। আমরা সবাই সচেতন হলে কেউ এমন কাজ করার সাহস পাবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেফাত জামিল, উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. মোশারফ হোসেন, মো. আশ্রাফুজ্জামান খান, চাঁদপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মালেক শেখ, ঠিকাদার প্রতিনিধি মারুফ মজুমদারসহ স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকগণ।

উল্লেখ্য : গত ৫ এপ্রিল এপ্রিল সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়ে চাঁদপুরে পুরানবাজারস্থ শহর রক্ষা বাঁধে আবারো ভাঙন দেখা দেয়। উত্তাল মেঘরার ঢেউয়ের আঘাতে পুরাতন ফায়ার সার্ভিস এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার এলাকার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক দেবে যায়। ঐ রাতেও ভাঙনের খবর শুনে জেলা প্রশাসক ভাঙন এলাকায় ছুটে যান।

প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,৬ এপ্রিল ২০২১

Share