Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে আকস্মিক দাঙ্গা : অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ভাঙচুর
চাঁদপুরে আকস্মিক দাঙ্গা : অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ভাঙচুর

চাঁদপুরে আকস্মিক দাঙ্গা : অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ভাঙচুর

চাঁদপুর ছাত্রলীগের সশস্ত্র তা-বে শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে শহরে অর্ধ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তা-বকারীরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেবের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত সড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া আকস্মিক দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনায় শহরবাসীরা প্রচ- আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ দিগি¦দিক ছুটোছুটি করে নিরাপত্তার সন্ধানে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শ’খানেক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর দাঙ্গা-হাঙ্গামায় চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ও জোড়পুকুর পাড় এলাকায় রণক্ষেত্র হলেও শপথ চত্বরের পুলিশ বক্সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছিলো অনেকটা আত্মগোপনে।

রাত ১২টায় শহরবাসী যখন নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখনই দেশীয় অস্ত্রের ঝনঝনানিতে চাঁদপুর শহর কেঁপে উঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বমহলে। তবে এ ঘটনার বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিক কোন বক্তব্য প্রদান করতে সম্মত হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অস্ত্রধারীরা হঠাৎ শহরের কালীবাড়ি এলাকায় জড়ো হয়ে একযোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ যানবাহনের উপর তা-বলীলা চালায়। সন্ত্রাসীদের তা-বে হতচকিত হয়ে পড়ে পথচারীসহ জনসাধারণ।

রাত সোয়া ১২টায় পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

তবে পুলিশ সুপারের বক্তব্য জানার সময়েও শহরের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছিল। রাত আড়াইটা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে ৮/১০ জন গ্রুপের যুবকদের দেখা গেছে। পুলিশও শহরের বিভিন্ন স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়।

দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাঁদপুর শহর ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, ফরিদগঞ্জ পৌর নির্বাচন কেন্দ্র করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। ওই কন্ট্রোল রুম ঘিরে জেলা ছাত্রলীগ নেতা এমিল গালমন্দ করে। পরে রনি এমিলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে।

খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা তাদের ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে। পরে ছাত্রলীগ নেতা রনিকে না পেয়ে তার বন্ধু ফরহাদকে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব সমঝোতার চেষ্টা করে। পরে বিক্ষুব্ধরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির অফিস ও বাড়িতে হামলা করে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল মোতালেব সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকেন।

এ সংক্রান্ত পরের নিউজ চাঁদপুর শহরে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২১

|| আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার

এমআরআর