চাঁদপুর

চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচল বন্ধ

জ্রেজিংয়ের অজুহাতে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিস প্রতিদিন ৭/৮ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকছে। ১০/১২ দিন যাবত ওই ঘাটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ফেরি সার্ভিসে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন’ই ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ রেখে ড্রেজিং করছে তারা। এতে ফেরির দু’পাড়ে শতাধিক বাস-ট্রাকসহ পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে ঐ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন।

চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, ফেরি চ্যানেলের নাব্যতা কমে যাওয়ায় প্রায় ২ মাস ধরে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের মেশিনপত্র বার-বার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ সময় লাগছে ড্রেজিংয়ের কাজে। গত ১০/১২ দিন যাবত ফেরি সার্ভিসের শরীয়তপুর চ্যানেলে ড্রেজিং শুরু করে তারা। এর আগে চ্যানেলের অন্যান্য স্থানে খনন করেছে তারা। ড্রেজিং চলাকালে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। ড্রেজিং শেষে আমরা ফেরি চলাচল শুরু করতে পারি।

চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মো. ইমরান জানান, নাব্যতা সংকট মোকাবেলায় ড্রেজিং করা হচ্ছে। তবে দ্রুত ড্রেজিং করলে ফেরি চলাচল করা যেতো। এতে ফেরি পারাপারে আসা যাত্রীসহ যানবাহন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

শরীয়তপুর নরসিংহপুর ফেরিঘাটে আটকা পড়া পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ফিরোজ রশিদ জানান, শুক্রবার সকাল থেকে এ ঘাটে আটকা পড়ে আছি। এরমধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় কবে নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছতে পারবো তা নিয়েই চিন্তিত।

প্রসঙ্গত, ফেরি সার্ভিস চালু হবার পর থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং একটি নিয়মিত ব্যবসা। এক সপ্তাহ ড্রেজিং করলে যেখানে ফেরি বা নৌযান চলাচলে সমস্যা হবার কথা নয় সেখানে তারা ২ থেকে ৪ মাসও এখানে অবস্থান করে নদীখনন করেন। কোটি-কোটি টাকার রোগজারের আশায় তারা দিনের পর দিন ড্রেজিং করে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কেউ’ই তা দেখেও দেখে না।

বিশেষ প্রতিনিধি :  আপডেট ০১:২০ পিএম ০৭ নভেম্বব, ২০১৫ শনিবার

ডিএইচ

Share