চাঁদপুর

চাঁদপুর লঞ্চঘাট পন্টুনের গ্যাংওয়ে যেনো মরণফাঁদ

গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে দিয়ে উঠা-নামায় যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। অনেকে ইচ্ছা করলেও লঞ্চে উঠতে পারছে না। তারা ঘাটে থাকা বিআইডব্লিইটির কর্মকর্তাদের অনেকবার জানিয়েছেন, কিন্তু কেউ’ই ব্যবস্থা নেয়নি বলে তারা জানান।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটের একমাত্র গ্যাংওয়েটি (জেটি) যাত্রীদের জন্য মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ গ্যাংওয়ে দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই বয়স্ক এবং শিশুরা যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এমনকি অনেকে গ্যাংওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে হাত পা পর্যন্ত ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এরপরও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সেদিকে নজর নেই।

চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোডে অবস্থিত বিকল্প লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চলাচলের জন্য মাত্র ২টি গ্যাংওয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে পূর্ব দিকের গ্যাংওয়েটি অজ্ঞাত কারণে ঈদের পরপরই সরিয়ে ফেলা হয়। অপর গ্যাংওয়েটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে নামমাত্র কাজ করিয়ে কোনো রকমে পন্টুনের সাথে সংযোগ করে দেওয়া হয়। এটির অবস্থাও অত্যন্ত নড়বড়ে। সেই কাঠের পাটাতনের তৈরি একমাত্র গ্যাংওয়েটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

ঢাকাগামী যাত্রী আনিকা ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ক’দিন আগে চাঁদপুর এসেছি, নানাবাড়ি বেড়াতে। আজ ঢাকায় ফিরছি। কিন্তু লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে দিয়ে পন্টুনে উঠতে-নামতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সামান্য অসাবধানতায় দুর্ঘটনায় পড়তে হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে অসুস্থ রোগী হলে পারাপার দুঃসাধ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ পথে চলাচলকারী শহরের একাধিক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে দিয়ে উঠা-নামায় যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। অনেকে ইচ্ছা করলেও লঞ্চে উঠতে পারছে না। তারা ঘাটে থাকা বিআইডব্লিইটির কর্মকর্তাদের অনেকবার জানিয়েছেন, কিন্তু কেউ’ই ব্যবস্থা নেয়নি বলে তারা জানান।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফয়জুল্লাহ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, পূর্ব পাশের স্টিল জেটিটি নামানো হয়ে গেছে। এটির কাজ শেষ হলে পশ্চিম দিকেরটিও কাজ করানো হবে। পানি কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সহসাই কাজ শুরু করব।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট 

|| আপডেট: ০৭:১৬ পিএম,২৬ অক্টোবর ২০১৫, সোমবার

 এমআরআর

Share