চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের মারধর, ৫ কর্মী গ্রেপ্তার

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে এমভি জাহিদ ৭ লঞ্চের পাঁচ কর্মচারীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ১২টার দিকে ঘটনার পরপরই ওই কর্মচারীদের আটক করে চাঁদপুর নৌ থানা–পুলিশ।

এ ঘটনায় এক ব্যক্তির করা মামলায় ১০ মে মঙ্গলবার দুপুরে আটক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নৌ থানা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসছিল ঢাকা অভিমুখী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাহিদ ৭। লঞ্চটিতে করে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ধুলিয়া ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া সপরিবার চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য চাঁদপুর আসছিলেন।

লঞ্চের ভেতরে মোশারফ ভূঁইয়ার ছেলে মেহেদী হাসান ও তার ভাতিজা কাউসারের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা–কাটাকাটি হয়। চাঁদপুর ঘাটে মোশারফ ও তার পরিবারের লোকজন লঞ্চ থেকে নামতে গেলে লঞ্চের সুপারভাইজার সাইদুর রহমান কর্মচারীদের নিয়ে তাদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

খবর পেয়ে দ্রুত চাঁদপুর নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত লঞ্চযাত্রী রাকিব চৌধুরী, শিমুল বেগম, লিমা আক্তার, মেহেদী হাসান ও কাউসারকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে নৌ থানা-পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.কামরুজ্জামান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন এমভি জাহিদ লঞ্চের সুপারভাইজার সাইদুর রহমান মৃধা, স্টাফ হোসেন, রাসেল হাওলাদার, জুয়েল খন্দকার ও রাজীব হোসেন খান।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ১১ মে ২০২২

Share