চাঁদপুর

গভীর রাতেও চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

ধারণ ক্ষমতার চাইতে অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে রাতেও ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বিলাস বহুল লঞ্চগুলো।

বসে কিংবা দাঁড়িয়ে যাওয়ার মত কোনো অবস্থান না পেয়ে অনেক যাত্রী নেমে যাচ্ছে অন্য লঞ্চে। কিন্তু সব লঞ্চেরই একই অবস্থা। আবার কেউবা অনেক কষ্টে দাঁড়িয়ে আছেন মালপত্র নিয়ে।

লঞ্চগুলো ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের দুই ঘণ্টা আগেই ভরপুর যাত্রী। তাই আগের মতো ছেড়ে যাওয়ার সময় হরণ বাঁজানোর প্রয়োজন হয় না।

বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে যাত্রীদের এ চিত্র দেখা গেছে।

এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের নীচতলায় শতাধিক আসন থাকলেও লঞ্চের ডেকে রয়েছে কমপক্ষে ৫ শতাধিক যাত্রী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কেবিন এর সামনে খালি জায়গায় হাঁটার মত অবস্থা নেই। যেখানে খালি জায়গা সেখানেই যাত্রী। নিয়মানুযায়ী ৭শ’ ৮শ’ যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও লঞ্চের নীচতলায় এ পরিমান যাত্রী রয়েছে। রাত ১২.১৫ মিনিটে এ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেছে ছাড়ে।

একই অবস্থায় এমভি ইমাম হাসান-২ লঞ্চে। ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ১১.১০মিনিটে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যাত্রী ভরপুর হওয়ায় ঘাট ছেড়ে যায়।

এর আগে সন্ধ্যায় ৬.১৫ মিনিটে এমভি ইমাম হাসান-০, এমভি মিতালী-৪ রাত ৯টা ৪০মিনিটে এমভি বোগদাদিয়া-৫ রাত সোয়া দশটায়, এমভি আব-এ জম জম-১ রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়। সর্ব শেষ রাত পৌনে ১টায় ময়ূর-২ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপূর ঘাট ত্যাগ করে।

জেলার হাজীগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী মজিবুর রহমান বলেন, লঞ্চ ঘাটে আসার পরে কোনো কেবিন কিংবা প্রথম শ্রেণীর টিকিট পাওয়া যায় না। এক যাত্রী না আসার কারণে প্রথম শ্রেণীর একটি টিকিট পেয়ে লঞ্চে উঠলাম।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা যাত্রী আমেনা বেগম বলেন, থাকেন ঢাকা বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায়। ছেলের ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য আগ থেকেই রওয়ানা হলাম। লঞ্চে বসার স্থানও পাইনি। তাই টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছি। পরিবারের সদস্য ৫জন, বসার স্থান না পেলে পরের লঞ্চে যাব।

চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার বলেন, যাত্রীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাম কানে এখন কিছুই শুনতে পাই না। তাই মোবাইল সুইচ অপ করে রেখেছি। দিন রাতে যাত্রীদের ভিড় একই রকম। তবে অনেক বেশী যাত্রী হলে স্পেশাল লঞ্চের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিআইডাব্লিউটিএ চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাতেও যাত্রীদের প্রচুর পরিমান ভিড় রয়েছে। শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১ : ৩০ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শুক্রবার
এইউ

Share