চাঁদপুর লঞ্চঘাটের বিভিন্ন লঞ্চগুলোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, কেন্টিনের খাবারের মান ও দাম নির্ণয়ে অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। এছাড়া লঞ্চগুলোতে ময়লা ফেলানোর পর্যাপ্ত ডাস্টবিন ও ঝুড়ি নেই।
বুধবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে চাঁদপুর-ঢাকা যাত্রীবাহী লঞ্চ ও টার্মিনালে প্রবেশ পথের কেন্টিনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
যাত্রীদের নামানোর পর লঞ্চ পরিষ্কার করে সকল ময়লা নদীতে ফেলে দেয়া হয় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এ সকল বিষয় সচেতন করানোর জন্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে একটি লঞ্চকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি সকল মালিকদের ক্যান্টিনে মূল্য তালিকা টানানো,লঞ্চের প্রত্যেক ফ্লোরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ময়লার ডাস্টবিন বা ঝুড়ি স্থাপন করা বা রাখা,লঞ্চ পরিষ্কার করে ময়লা নদীতে না ফেলে একত্রিত করে ডাঙায় ফেলার জন্যে সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়।
লঞ্চঘাটের হোটেলগুলোতে পরিদর্শন করে নোংরা পরিবেশে পঁচা ও বাসি খাবার বিক্রয়ের অপরাধে একটি হোটেলকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।এ সময় লঞ্চঘাটে অবৈধভাবে বেদখলকৃত কিছু জায়গাও উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণ চন্দ্রপাল ও আজিজুন্নাহার, বিআইডব্লিউটিএ এর টিআই সুমন ও ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দ।
শরীফুল ইসলাম
১৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৯