Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বিআইডাব্লিউটিএ কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতি
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বিআইডাব্লিউটিএ কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতি
ফাইল ছবি

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বিআইডাব্লিউটিএ কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতি

যাত্রীদের প্রবেশ টিকেট বার বার বিক্রি এবং যানবাহন থেকে রসিদবিহীন চাঁদা আদায়

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বিআইডাবলিউটি’র দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা দুর্নীতিতে জর্জরিত। তাদের দুর্নীতির কারণে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয়। আর ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ লঞ্চযাত্রী এবং যানবাহন পরিবহনের চালকরা।

চাঁদপুর বিআইডাবলিউটি’র লঞ্চ টার্মিনালে উপরে থাকা স্থানটিতে শত শত সিএনজি স্কুটার, অটোবাইক যাত্রী পারাপারের আশায় প্রবেশ করে থাকে। এখানে বিআইডাবলিউটিএ থেকে তাদের নিজস্ব লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টার্মিনাল ত্যাগের সময় সিএনজি স্কুটার আর অটোবাইক থেকে রসিদের মাধ্যমে ৫ টাকা হারে টাকা উত্তোলনের জন্য।

সরোজমিনে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশের মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে সিএনজি স্কুটার ও অটোবাইক থামিয়ে ৫ টাকা হারে চাঁদা তোলা হচ্ছে। তবে কোনো রসিদ চালকদের দেয়া হচ্ছে না। বিআইডাবলিউটিএ’র কর্মরত আব্দুল জব্বার রসিদ নিয়ে গাড়ি থেকে নির্ধারিত চাঁদা তুলে যাচ্ছে। তবে কোনো রসিদ দিচ্ছে না। তারা রসিদবিহীন টাকা তাদের নিজস্ব পকেটে ঢুকিয়ে রাখে। কাদির চলে গেলে লাইনে এসে দাঁড়ায় আব্দুল জব্বার সহ আরো অনেকে। সেও একই কায়দায় রসিদ ছাড়া চাঁদা আদায় করে। তারা নৌকার মাঝিদের সাথে হাত করে মাঝ নদীতে নৌকাযোগে যাত্রী উঠাতে দিত।

এদিকে লঞ্চ যাত্রীরাও বিআইডাবলিউটিএ’র কর্মকর্তাদের হাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পন্টুনে প্রবেশের ঘাট টিকেট সরকারি মূল্য ৩ টাকা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিকেট কাউন্টারের ভেতরে থাকা লোকজন যাত্রীদের কাছ থেকে ঘাট টিকেট ৩ টাকা করে নিচ্ছেকিন্তু সেই টিকেট পুনুরায় কাউন্টারের দিয়ে দেয় স্টাফরা। বি.আই.ডাবলিউ.টি এর চেয়ারম্যান দায়িত্বে থাকা মাজহারুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মাকসুদ, আবুল কালাম আজাদ, মুক্তার আহম্মেদ, স্বপন, শাহাদাত আরো অনেক স্টাফ বেশ কয়েকজন সিএন জি, অটো রিক্সাড্রাইভারকে জানান, আমরা সব সময় এখানে ৫ টাকা করে টিকেট করে ভেতরে প্রবেশ করার সময় দেই কিন্তু তারা কোনো প্রকার রসিদ দেয় না। তারা আরো বলেম জ্যাম লেগে যাবে তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেন।

এদিকে আরো দেখা যায়, ঘাট টিকেট ৩ টাকা করে কাটলেও স্টাফরা তা ছিঁড়ে ফেলার কথা কিন্তু ওই টিকেট পুনরায় কাউন্টার দিয়ে দেয়া হয় ।

বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, যারা সরকারি কর্মচারী হয়েও সরকারের এরকম সাথে বেঈমানী করে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে। আমার বন্দর এলাকায় এরকম কোনো অনিয়ম দেখা গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. জাবেদ হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

 

 || আপডেট: ০৬:৫১ পিএম,  ২৯ নভেম্বর ২০১৫, রোববার

এমআরআর