চাঁদপুর

চাঁদপুর রয়েল হাসপাতালে ‘ঘুমের ওষুধেই’ প্রসূতি চিরনিদ্রায়

চাঁদপুর শহরের রয়েল হাসপাতালে সিজারের পর ‘ঘুমের ওষুধে’ রেশমা বেগম (২২) নামে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তার সিজার করেন গাইনী চিকিৎসক ডা. ফাতেমা বেগম, এনএসথেসিয়া ছিলেন ডা. ইলিয়াস।

নিহত প্রসূতী চাঁদপুর সদরের উত্তর বালিয়া গ্রামের শরীফ খানের স্ত্রী একই উপজেলার মধ্য রঘুনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ গাজীর কন্যা।

সিজারের মাধ্যমে নিহত রেশমা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। দেড় বছর আগে তার বিয়ে হয়।

রেশমার বড় ভাই রুবেল গাজী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘রেশমা বেগম গর্ভবতী ছিলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৪ টার দিকে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার হাসপাতালের সামনে বিসমিল্লাহ ফার্মেসির মালিক হাফেজ মন্দারের পরামর্শে চাঁদপুর রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’

রুবেল আরো জানায়, ‘দুপুরে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হওয়ার পর থেকে অজ্ঞান অবস্থায় ফিরে আসে, জিজ্ঞাসা করা হলে জানানো হয়, ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে। জ্ঞান ফিরতে দেরি হবে। পরে সন্ধ্যার ৬ টার দিকে জানানো হয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’

খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মাহবুবুর রহমান মোল্লা, এসআই সিরাজুল ইসলাম, এসআই অনুপ চক্রবর্তী, এসআই ত্রিনাথ হাসপাতালে এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।

ওসি তদন্ত মাহবুবুর রহমান মোল্লা চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘আমরা জেনেছি রোগীরা স্বজন এখানে সিজারের জন্যে ভর্তি করান, অপারেশনে রোগীর মৃত্যু হয়েছে খবর পেয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

এদিকে বক্তব্যের জন্যে হাসপাতালের মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

রিসিপনের দায়িত্বে থাকা জসিম চাঁদপুর টাইমসকে জানান ‘দুপুরে দিকে রেশমা নামে রোগীকে ভর্তি করানো হয়, অপারেশনের পর সন্ধ্যার ৬ টা ভালো ছিলো, জ্ঞান ফিরার পর কথাও বলেছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।’

তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

ডা. ফাতেমা বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘আমি অপারেশন করেছি, নিখুঁতভাবেই করেছি। আমার অপারেশনে কোনো ভুল নেই, মৃত্যু কিভাবে হয়েছে আপনারা খুঁজে বের করেন, আমি জানি না।’

এ বিষয়ে এনএসথেসিয়া চিকিৎসক ডা. ইলিয়াসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ৯: ৪০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শুক্রবার
ডিএইচ

Share