Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন
চাঁদপুর যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন

চাঁদপুর যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন

ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিইপি)’র মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন) প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ আগস্ট) চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা মুক্তিফৌজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রকৌ. মো. দেলোয়ার হোসেন কে আহ্বায়ক ও ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিইপি)’র সিনিয়র জেলা ব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীকে সদস্য সচিব করা এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা হলেন, উপদেষ্টা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, জেলা ক্যাব সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তী ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব মিসেস ফরিদা ইলিয়াস ও শাহেদ রিয়াজ। নির্বাহী সদস্যরা হলেন, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফেরদৌসী আক্তার, লিলা চক্রবর্তী, আয়েসা রহমান, রওশন আক্তার মো. ইলিয়াস মিয়া, মাওলানা আব্দুর রউফ খান, পাপড়ি বর্মন, অ্যাডভোকেট কোহিনুর বেগম, বেবী সাহা, খায়রুল আলম জনি ও রোটার‌্যাক্টর সালাউদ্দিন। এছাড়াও সভায় উপস্থিত সকলকে সাধারন সদস্য করা হয়।

ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয় (ঢাকা) সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট মীর সামসুল আলমের পরিচালনায় ও মেজনিন প্রকল্প, সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি’র সেক্টর স্পেশালিস্ট দেবাশীষ হালদারের সঞ্চালনায় সভায় মেজনিন কর্মসূচি সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমার দে, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি মো. ফারুক আহম্মেদ।

প্রসঙ্গত, নারী ও কিশোরীদের প্রতি সব রকম সহিংসতা, যৌন হয়রানি, সাইবাল বুলিং ও বাল্যবিয়ে নির্মূলকরণে ব্র্যাকের সিইপি কর্মসূচি ‘মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব’ বা মেজনিন কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, শিক্ষক, অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের সক্রিয় অবস্থান তৈরি এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার ১৫ টি স্কুলসহ আরো ১০ জেলায় ৩০০ স্কুলে কাজ চলছে।

এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ হলো মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব ও যৌন হয়রানি নির্মূলকরণে মানুষকে সচেতন করে সমাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং যৌন হয়রনির শিকার মেয়েদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করা।

আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ৪০ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Leave a Reply