চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ এ ৪ উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা, নদীতে অবৈধ বাঁশ ও গাছপালার ঘেরদিয়ে সবধরণের বা প্রজাতির মাছ নিধন বন্ধে, বড়-ছোট চাই ব্যবহার বন্ধে, চর ঘেরা জাল, চটজাল, মশারি জাল ও পাকিস্থানী জাল দিয়ে সব ধরণের অতিশয় ছোট মাছ সেকে উঠানোরমত অবস্থায় মাছের রেনুূ ধ্বংস করা বন্ধে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে ।
চাঁদপুর মৎস্য অধিদপ্তর এ ‘ বিশেষ কম্বিং অপারেশন ২০২১’ নামে বা ‘ চিরুনি অভিযান’পরিচালনা করছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ জানুয়ারি রোববার বার বেলা ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে,চাঁদপুর সদর,মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচরে মেঘনা-ডাকাতিয়ার নৌ-সীমানায় ৫ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এতে ২৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ, ২টি মশারি জাল আটক করে। অভিযান পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদরের মৎস্য কর্মকর্তা সুধিব ভট্টাচার্য, হাইমচরের মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান , মতলব দক্ষিণের মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা আকতার ও মতলব দক্ষিণের ফারহানা আকতার রুমা ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান,‘চাঁদপুর নৌ-সীমানায় শত শত বেড় জাল ব্যবহার করে মাছের রেণু ধংস করা ও মাছের প্রজনন বিনষ্ট করা,নদীতে মাসের পর মাস সময় ধরে বাশঁ ও গাছ-ডালা নদীতে জাগ পেতে মাছ শিকার করার কারণে নদী নাভ্যতা হ্রাস ও বিষ প্রয়োগে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে ও অন্যান্য প্রজাতির মাছ সম্পূর্ণ মরে যাচ্ছে। ঔ মাছ তারা বাজারে বিক্রি করায় তা খেয়ে মানুষ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে ।
এ অভিযান আবার ২৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার চলবে বলে তিনি জানান।
আবদুল গনি , ১৭ জানুয়ারি ২০২১