চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর,হাইমচর,মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ এ ৪ উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা,নদীতে অবৈধ বাঁশ ও গাছপালার ঘেরদিয়ে সবধরণের বা প্রজাতির মাছ নিধন বন্ধে, বড়-ছোট চাই ব্যবহার বন্ধে, চর ঘেরা জাল, চটজাল, মশারি জাল ও পাকিস্থানী জাল দিয়ে সব ধরণের অতিশয় ছোট মাছ সেকে উঠানোরমত অবস্থায় মাছের রেনুূ ধ্বংস করা বন্ধে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে ।
চাঁদপুর মৎস্য অধিদপ্তর ১০ জানুয়ারি হতে ‘কম্বিং অপারেশন ২০২১’ নামে বা ‘চিরুনি অভিযান ’পরিচালনা করছে।
গত ২৪ ঘন্টায় মঙ্গলবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে,চাঁদপুর সদরের মেঘনা-ডাকাতিয়ায় ৩টি মোবাইল কোর্ট ও হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার নৌ-সীমানায় ১১টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে । এতে সাড়ে ৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও বেড় বা চট বা পাকিস্থানী বা ঘের জাল উদ্ধার করেছে ৫ টি ।
চাঁদপুর মতলব ও হাইমচরে পদ্মা,মেঘনা,ডাকাতিয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পর্যায়ক্রমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সুলতানা,মন্জুরুল মোর্শেদ ও উজ্জ্বল হোসেন এবং অভিযান পরিচালনা করেন ৩ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান,‘চাঁদপুর নৌ-সীমানায় শত শত বেড় জাল ব্যবহার করে মাছের রেণু ধংস করা ও মাছের প্রজনন বিনষ্ট করা, নদীতে মাসের পর মাস সময় ধরে বাশঁ ও গাছ-ডালা নদীতে জাগ পেতে মাছ শিকার করার কারণে নদী নাভ্যতা হ্রাস ও বিষ প্রয়োগে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে ও অন্যান্য প্রজাতির মাছ সম্পূর্ণ মরে যাচ্ছে ঔ মাছ তারা বাজারে বিক্রি করায় তা খেয়ে মানুষ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে ।
তিনি আরও বলেন,‘এক শ্রেণির জেলে জাকে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন করায় জনস্বাস্থ্য হুমকীর মধ্যে পড়ছে। এরা নদীর পানি দূষণ করছে ও মশারি জাল,পাকিস্তানি জাল,চটজাল বা চর ঘেরা জাল ব্যবহার করে রেণু মাছ ধরে নিধন করছে । তাই তা রক্ষায় এ বিশেষ মোবাইল কোর্ট দিয়ে ‘কম্বিং অপারেশন ২০২১’ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে চাঁদপুর মৎস্য অধিদপ্তর ।’
আবদুল গনি, ১২ জানুয়ারি ২০২১