চাঁদপুর-রায়পুর সংযোগ সেতুর পশ্চিম পাশে অবস্থিত চাঁদপুর ইনস্টিটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির প্রশিক্ষণের পরই প্রশিক্ষণার্থীরা মধ্যপ্রাচ্যসহ ২৬ টি দেশে পাড়ি জমাচ্ছে যাচ্ছে।
যে কোনো শ্রমিক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যসহ ২৬ টি দেশে গমনেচ্ছুক কর্মীদের ওরিয়েন্টেশন কোর্স নামে ফিঙ্গার প্রিন্টি দেয়ার পর ৩ দিনের একটি প্রশিক্ষণ ‘চাঁদপুর ইনস্টিটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ’ থেকে গ্রহণ করে সনদ নিয়ে যেতে হয়। সরকারিভাবে চাঁদপুরের ইনস্টিটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানটি জনশক্তি,কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত।
চাঁদপুর ইনস্টিটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মীদের সপ্তাহে দু’টো করে মাসে ৮ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ ও সনদ প্রদান করছেন বলে বুধবার (১১ জুলাই) সংস্থার সূত্রটি চাঁদপুর টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৭ সালের জুন থেকে প্রত্যেক বিদেশ শ্রমজীবী কে ৩ দিনের ওরিয়েন্টেশন কোর্সটির প্রশিক্ষণ নিতে হয়। জুন ২০১৭ হতে ৫ হাজার ৯শ ২৯ জন কর্মীকে এবং জানুয়ারি ২০১৮ হতে জুন পর্যন্ত ১২ হাজার ২শ’২৩ জনকে এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত সৌদি সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ও মালোয়েশিয়ায় ৬ হাজার ৯শ’৬৫ জন শ্রমজীবী পুরুষ ও নারী কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যেতে পেরেছেন।
সুত্রটি আরো জানায়, প্রত্যেক বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মী যে দেশে যাবে সে দেশের ভিসা নিশ্চিত হওয়ার পর জনশক্তি,কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত চাঁদপুরের স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সাবেক বিএভিএস ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফিঙ্গার টেস্ট সম্পন্ন হওয়ার পর পরই তাকে ২শ’ টাকা ফি দিয়ে ৩ দিনের এ ওরিয়েন্টেশন কোর্সটি সম্পন্ন হয়।
চাঁদপুরের ইনস্টিটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির প্রশিক্ষক অমিত চাকমা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘ সরকারি নির্দেশে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডাটা তৈরি,নিবন্ধন,ফিঙ্গার টেস্ট,পাসপোর্স্ট পরিচিতি ও নম্বর , দূতাবাসের সকল ধরনের সুবিধা পেতে, প্রবাসে অবস্থান কালে যে কোনো সমস্যা সমাধানে,ওয়ার্ক ভিসা ও পুন:যাচাই-বাচাই প্রভৃতি ক্ষেত্রে এ কোর্স গ্রহণ কালে সংরক্ষণ করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ প্রশিক্ষণে যে দেশে ওই শ্রমজীবী যাবেন সে দেশের ভাষা সম্পর্কে,বিমান বন্দরে করণীয় ইমিগ্রেশান কার্যক্রমে করণীয়,প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ,দৈনন্দিন জীবনে চলাচল করার ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে গাইড লাইন প্রদান করা হয় ।’
সুতারং বৈধভাবে কেউ বিদেশে গেলে এ সকল ডাটা ইমিগ্রেশান কার্যক্রমে বা বিমান বন্দরে যে কোনো কর্মকর্তা কোড নম্বর ব্যবহার করে মুহুর্তের মধ্যেই পেয়ে যাবেন এবং তার বৈধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। ফলে কোনো ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
২০১৭ সালের আগে একজন বিদেশ গমনকারীকে এসব কর্মকান্ড করার জন্যে প্রথমে ঢাকায় এবং পরবর্তীতে কুমিল্লায় দিনের দিন ওই অফিসের বারান্দায় বসে কিংবা রাত অতিবাহিত করে যেতে হত। বর্তমানে চাঁদপুরের মানুষ তা’চাঁদপুরেই করা সুযোগ পাচ্ছে। তাই কোনো প্রবাসগামী অবৈধভাবে গেলে তার দুঃখের কোনো সীমা থাকে না।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ৪০ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৮,বৃহস্পতিবার
ডি এইচ