চাঁদপুর মেঘনা নদীতে অবৈধ স্পিডবোটযোগে যাত্রীবাহী ট্রলার যাত্রীদের দেশিয় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১২ জুলাই) রাত সোয়া ৮ টার দিকে সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের ঈদগাহ বাজার থেকে চাঁদপুর আসার পথে মুকুন্দীচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদলের ভয়ে ২২ যাত্রীর মধ্যে অন্তত ১৬ জন জীবন বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দেয়। ডাকাতদের হামলায় ট্রলারে থাকা শিশু ও নারীসহ ৬-৭জন গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলেন, ইব্রাহীম ইউনিয়নের বাদশা মিয়া, গফুর দিদার, নুরুজ্জামান, খোকা দিদার ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম, আক্তার মজুমদার ও রহমান তালুকদারসহ আরো ক’জন।
ট্রলার যাত্রী হোসনেয়ারা বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে ২২ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পুরাণবাজার সংলগ্ন বিপরীত দিকের মুকন্দিচরের কাছে আসলে মুখে কাপড় বাধা ৭/৮ সদসের একটি ডাকাতদল স্পিডবোটে এসে তাদের গলায় দেশিয় অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, মোবাইল সেট ও সবার সাথে থাকা বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নেয়।’
আরেক যাত্রী তাসলিমা বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমার গলায় থাকা স¦র্ণের চেইন নিয়ে যায়। হাতে থাকা চুড়িগুলো স্বর্ণ ভেবে কিছুক্ষণ টানা হেঁচড়া করে নেয়ার চেষ্টা করে। প্রাণের ভয়ে এসময় অনেক যাত্রী পানিতে ঝাঁপ দেয়। পরে ডাকাতরা চলে গেলে নদী থেকে অন্য যাত্রীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর ঘাটে ট্রলার ভিড়ায়।’
এ ঘটনায় চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্দ্রজিৎ দাস মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমরা ঘটনা শোনার সাথে সাথে এ চক্রের সদস্যদের আটক করতে নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই) চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছিলেন, ‘নদীতে স্পীডবোট চলাচলে নজরধারী বাড়াতে হবে। এর মাধ্যে কেউ যাতে নদীপথে চোরাচালানী ও চাঁদাবাজি করতে না পারে সেজন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারি স্পীডবোট ব্যতীত কেউ বৈআইনীভাবে তা ব্যবহার করতে যেন না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ০০ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ