চাঁদপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র জেলাবাসীর জন্য স্বাস্থ্য সেবায় অনন্য অবদান রাখছে। চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাব রোডের পুরাতন জেলা কারাগারের সামনে অবস্থিত এ কেন্দ্রটি। এ কেন্দ্রটি বছরের পর বছর মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় জেলার মধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
চাঁদপুরে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধসহ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সরকার এ কেন্দ্রটি স্থাপন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ কেন্দ্রটি অত্র এলাকার স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুধু তাই করেনো পরিস্থিতি শুরু থেকে এখানে দায়িত্বরক চিকিৎসক ও স্টাফরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করনোকালে আগত রোগীদের আন্তরিকতার সাথে মা ও শিশুর সব রোগের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা.লতিফা নাসরিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, এ কেন্দ্রে প্রতিদিন অগনিত রোগীদের মধ্যে নানা সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা চট্টগ্রাম বিভাগে প্রথম হয়েছি। এখানে কর্মরত চিকিৎসকরা নরমাল ডেলিভারী, গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ পরিবার পরিকল্পনা সেবা দিতে সবর্দা প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, করোনার পূর্বে প্রতিদিন শতাধিক রোগী দেখেছি কিন্তু করনোকালীর সময়ে রোগী কিছুটা কমে গেছে। করোনা শুরু থেকে আমরা ঝুঁকি নিয়েই রোগী দেখেছি। এই করুন মূহুত্বে ঘরে বসে থাকলে হবে না। আমরা সেবা নিলে, কারা সেবা দিবে। আমাদের মুল্য দায়িত্বই সেবা দেওয়া। মানবিকতা ও সরকারি চাকরির কারনে আমরা বসে থাকতে পারি না। আমাদের যার যার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন থেকে বিলকিস বলেন, এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। সেবা গ্রহণ করতে আসা রোগীদের ব্যাপারে চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তাররা অত্যন্ত আন্তরিক। এ ধারা অব্যাহত থাকলে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং চিকিৎসা সেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।
চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ডা. মো.ইলিয়াস বলেন, এ জেলায় মোট মাঠ কর্মী রয়েছে ৪শ’৬৩ জন। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ১১জন চিকিৎসা সেবায় কাজ করছেন। এখানে বর্তমানে এনেসথেসিয়া ডাক্তার সংকট রয়েছে। এপদে কেউ না থাকার কারনে আমি নিজেই কাজ করছি। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে মাত্র ২০ টি বেড রয়েছে। আমাদের সেবার হার অনেক বেড়েছ। সিজারিয়ান সংখ্যা অনেক কমেছে। আশা রাখি আমরা বার বার স্বাস্থ্যসেবায় প্রথম স্থান অর্জন করবো।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম, ১৪ জুলাই ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur