চাঁদপুর

চাঁদপুরে ভাই ভাই ক্লাবের জুয়ার আসর পণ্ড

চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরাণবাজার ভাই ভাই ক্লাবের ঝমজমাট জুয়ার আসর পণ্ড করা হয়েছে।

ভাই ভাই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকসহ দু’জন মাত্র ব্যাক্তি ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিধিদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের অগোচরে রাতভর ক্লাবে লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছিলো।

গত সোমবার রাতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালি উল্ল্যাহ অলি’র নেতৃত্বে ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর পণ্ড করে দেয়া হয়। এতে স্থানীয় ব্যাবসায়ী, যুবসমাজ ও সচেতন মহলে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ওই জুয়ার আসর বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকার শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ পুলিশ সুপার ও মডেল থানার ও সিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

জানা যায়, শহরের বানিজ্যিক এলাকা পুরাণাবাজার ভাই ভাই ক্লাবে প্রায় ৬ মাস ধরে প্রতি রাতেই জুয়ার আসর চলেছে। শুধু তাই নয়, নাম প্রকাশে অনিশ্চুক স্থানীয় অনেকের দাবি ক্লাবে রাতভর লাখ লাখ টাকার জুয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন চলতো। ওই এলাকার উঠতি বয়সের ব্যাবসায়ী ও যুবক শ্রেণীর একাংশ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পেশাদার জুয়ারীদের সাথে খেলায় লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলায় অংশ নিতো।

জেলা সরকার দলীয় বেশ ক’জন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতাকে ক্লাবের উল্লেখ্যযোগ্য দায়িত্বে বসিয়ে তাদের নাম ভাঙিয়ে দু’কর্মকর্তা এ কর্মকান্ড চালিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কোনো কারণে প্রশাসন অনেকটাই নিরব ছিলো। যার ফলে এতোদিন ধরে এলাকার সচেতন মহলে এক প্রকার চাপ ক্ষোভ বিরাজ করেছে।

ওই এলাকার সচেতন মহলের দাবি চাঁদপুর জেলা ঐতিহ্যবাহী ভাই ভাই স্পোাটং ক্লাবটি পুরাণবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যারয় মাঠে অবস্থিত। যে মাঠটি বানিজ্যিক ওই এলাকার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ্ মাঠও বটে। ক্লাবের সামনে পেছনে মসজিদসহ রয়েছে বেশ ক’ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় রাতভর এতো জুয়ার আসর চললেও ফাঁড়ির পুলিশ কোনো প্রকার আইনী ব্যাবস্থা না নেয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

তাদের দাবি জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের নিদের্শে পুলিশ যখন মাদক নির্মূলে একের পর এক সফল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তখন কোন সার্থ হাসিলে প্রকাশ্য জুয়ার বিষয়ে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখছে না।

জুয়ার বিষয়টি জানতে পেরে মডেল থানার ওসি নেতৃত্বে সোমবার গভির রাতে ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৫ জুয়ারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসীর দাবি ওই এলাকার যবসমাজ ও উঠতি বয়সের ব্যাবসায়ীদের রক্ষা করতে ভাই ভাই ক্লাবে আর যাতো কোনো প্রকার জুয়ার আসর বসাতে দেয়া না হয়, সেদিকে পুলিশ প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখবে বলে তারা আশা করছেন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১১:৪০ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৬, বুধবার
এইউ

Share