এক সপ্তাহ কর্মবিরতির পর চালু হয়েছে চাঁদপুর সদর মডেল থানার কার্যক্রম। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারামারি, ভাঙচুর, সম্পত্তি দখল, নিখোঁজসহ নানা কারণে শতাধিক অভিযোগ ও জিডি করেছেন ভুক্তোভোগীরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় থানা এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন এসব অভিযোগ ও সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।
এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সড়কে নামে। তখন শহরের শপথ চত্বরে পুলিশ সদস্যদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন রাজনৈতিক নেতারা।
থানায় সেবা নিতে আসা আব্দুর রহিম নামের একজন বলেন, আমার মেয়ে গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হয়। পুলিশের কর্মবিরতির কারণে থানায় জিডি করতে পারিনি। কার্যক্রম চালু হওয়ায় থানায় এসে জিডি করেছি।
সোবহান গাজী নামের আরেকজন জানান, সম্পত্তিগত কারণে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশের কর্মবিরতির কারণে এসেও ফেরত যেতে হয়েছে।
সদরের হানারচর এলাকার আবুল মাস্টার জানান, গত ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমি থানার কার্যক্রম চালুর বিষয়টি জানি না। যে কারণে এসপি বরাবর অভিযাগ দিয়েছি। এখন থানায়ও অভিযোগ দেবো।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করছে। পুলিশের কর্মবিরতির কারণে সাধারণ মানুষের কিছুটা সমস্যা হয়েছে, তা আমরা বুঝতে পেরেছি। কার্যক্রম শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টায় মারামারি, ভাঙচুর, সম্পত্তি দখল, নিখোঁজসহ নানা কারণে প্রায় শতাধিক অভিযোগ ও জিডি করেছেন ভুক্তোভোগীরা।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ ও জিডিগুলো থানার কর্মকর্তাদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। অতি দ্রুত এগুলো সমাধানের জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে কোনো মামলা হয়নি। তবে কার্যক্রম কয়েকদিন চলার পর অভিযোগের সংখ্যা কমবে।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৪ আগস্ট ২০২৪