চাঁদপুর

চাঁদপুর বেড়ে চলেছে শৈত্য প্রবাহ জমে উঠছে পুরাতন শীতকাপড়ের বাজার

উত্তরে শীতল হাওয়া আর ভোর-সন্ধ্যার শিশির জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে। তবে হঠাৎ করে গত দুইদিন ধরে চাঁদপুরে শীতের প্রকটতা বেড়েছে বহুগুণে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার দিনের পোরোটা সময় সূর্য ছিলো অনুপস্থিত। এর ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। শহরে-গ্রামে কর্মজীবি মানুষদের ভারী কাপড় গায়ে রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে।

চাঁদপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,১৯ ডিসেম্বর চাঁদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। এ অবস্থা আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আবদুল হান্নান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, সারা দেশে মাঝারি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। তবে এতে ফসল হানির সম্ভাবনা নেই ও নৌ-পথের যাতায়তে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞাও নেই ।

এদিকে হঠাৎ ঝেঁকে বসা শীত নিবারণের জন্যে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে মানুষের। শহরের মার্কেটগুলোতে শীত পোশাক বিক্রি কিছুটা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় বেড়েছে শহরের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে।

চাঁদপুর শহরের চৌধুরী ঘাট এলাকায় ফুটপাতের দোকানে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে গত দুই দিনে। শীত তাড়াতে ফুটপাতের এসব পুরাতন দোকানগুলোতে ভিড় করছে নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরীব লোকেরা। সেখান থেকে বেছে বেছে তারা স্বল্পমূল্যের সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোট, প্যান্ট, কানটুপিসহ বিভিন্ন প্রকার শীতবস্ত্র কিনছেন।

আলী হোসেন ও হালিমা বেগম নামের দুই ক্রেতা জানান, সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করতে গিয়ে সবার বিপণি-বিতানগুলোতে কেনাকাটা হয়ে ওঠে না। তাই তো শীতবস্ত্র কিনতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের লোকজনের শেষ ভরসা ফুটপাতের দোকান।

চৌধুরী ঘাটের ব্যবসায়ী মো.আলী সিকদার জানান, মূলত পৌষের এক মাস তাঁদের বেচা-বিক্রি হয়। বাকি বছর তারা ফলের ব্যবসা করেন। তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম জেলার ইয়াজউদ্দিন মার্কেট, খাতুনগঞ্জ ও কোরানি গঞ্জ থেকে এই পোশাকগুলো লট হিসেবে কিনে কম দামে বিক্রি করেন তারা। সস্তায় হলেও এর মান খুবই ভালো। নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাই মূলত এসব পোশাক কিনেন বলে ক্রেতারা জানান।

চৌধুরী মসজিদের সামনের ভ্রাম্যমান দোকানি বাবুল মিজি, সেলিম খান বলেন,গত দুই দিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় বেঁচাবিক্রি বড়েছে কিছুটা। তবে এখনো পুরোপুরিভাবে জমেনি বাজার।

তারা আরো জানান, প্রতিটি পুরোনা পোশাক তারা ২০ টাকা থেকে ২শ’ টাকায় বিক্রি করেন। এছাড়াও পুরোনো কম্বল বিক্রি করেন ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা।

প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম

Share