মো. জাবেদ হোসেন | আপডেট: ০৮:০২ অপরাহ্ণ, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কানুদী, মনোহরখাদী, মনোহরখাদী আশ্রায়ণ প্রকল্প, লালপুর, দামোদরদী এলাকার নদীর পাড়ের ৩ শত পরিবার বন্যার পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যার পানির কারণে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২৭ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বের পর্যন্ত হঠাৎ করে বন্যার পানি আসা শুরু করলে নদীর পাড়ের অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মাছ চাষের পুকুর পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত মনোহরখাদীর ২নং ওয়ার্ড আলমগীর মেম্বারের এলাকা, কানুদী বাজার থেকে খালেক কবিরাজের বাড়ি পর্যন্ত, হযরত আলী মাস্টারের বাড়ি থেকে নতুন রাস্তা পর্যন্ত, মালেক সরকারের বাড়ি থেকে হাজড়া বাড়ি পর্যন্ত, জনু হাজড়ার বাড়ির মোড় থেকে মনোহরখাদী রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা বিলীন হয়ে যায়। রাস্তার পাশে থাকা বিশাল আকারের কড়ই গাছগুলো গোড়া থেকে মাটি সরে পরে যায় যা বন্যার পানিতে ভেসে যায়।
বিশেষ করে মনোহরখাদী আশ্রায়ন প্রকল্পের প্রায় ১ শ’ পরিবারের প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি গরু, তিনটি ছাগল ও বিভিন্ন আসবাবপত্র, এবং ১১টি মৎস্যচাষকৃত পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে যায়।
এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের আলমগীর মেম্বার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
অপর দিকে দেখা যায় একই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের দামদরদীর মেম্বার দুলাল বেপারীর এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। এছাড়া ইকবালের দোকান থেকে ইউছুফ কোড়ালির বাড়ি, রামপুর স্কুল থেকে কেজি স্কুল পর্যন্ত, জাহাঙ্গীর মাস্টারের বাড়ি থেকে লিয়াকত মাস্টারের বাড়ি, শুক্কুর মাস্টারের বাড়ি থেকে আমিনুদ্দীন চোকদারের বাড়ির ১০ টি মৎস্য চাষের পুকুরের বাঁধ ভেঙ্গে যায় ও ৪০ কানি জমিনে আমন ধানের ফসল এবং ৪টি গরু বন্যার পানিতে ভেসে যায়।
ওই এলাকার মানুষ খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছে। এদিকে আরো দেখা যায় লালপুর ৭ নং ওয়ার্ডের লালপুর পাকা রাস্তা থেকে মিজি বাড়ি পর্যন্ত শরিফ মাঝির বাড়ি থেকে মাছের আড়ৎ পর্যন্ত বন্যার সাথে সাথে ২০ ঘরবাড়ি ও ১টি বন্যার পানিতে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে আরো দেখা যায় ৩ নং মৌলভি লঞ্চঘাট থেকে হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত, দামদরদী শরিফ চৌধুরীর বাড়ি থেকে ছিদ্দিক খান বাড়ি, চৌরাস্তা থেকে মধ্যমচরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা, ৭টি পুকুর সহ বন্যার পানিতে বিলীন হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমি প্রত্যেকটি বন্যা কবলিত ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করি এবং আমাকে যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের পাশে আমি দাঁড়িয়ে ক্ষতিক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে যথাসাধ্য সহযোগিতার চেষ্টা করবো।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur