প্রযুক্তি শিক্ষার মান বাড়াতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৯ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১টার দিকে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
এর আগে করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি সকাল সোয়া ১১টায় মেনে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর জন্য বিরোধীদলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রস্তাব দিলেও সরকারিদলের সদস্যদের কণ্ঠভোটে সেই প্রস্তাব নাকচ হয়। পরে ডেপুটি স্পিকার বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা পাস হয়।
এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করার মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হবে এবং সরকারি গেজেটে পরবর্তীসময়ে আইন মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ, পঠন পাঠন, গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চাঁদপুর জেলায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্নাতক এবং স্নাতকাত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটর- এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে চাদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অতি প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।
এর আগে গেলো বছরের গত ১৯ আগস্ট চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে আবার আনা হলে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯’ এর খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়।
খসড়া আইনে ৫৪টি ধারা রয়েছে। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন, সংজ্ঞা ছাড়াও আচার্য, উপাচার্যের দায়িত্ব কর্তব্য, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং অর্থ কমিটি সম্পর্কিত বিধান আছে সে আইনে। এই আইনের আলোকে ১৪টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,৯ সেপেটম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur