Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর বড়স্টেশন পর্যটন এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৩০
বড়স্টেশন

চাঁদপুর বড়স্টেশন পর্যটন এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৩০

চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মোলহেডের পর্যটন কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ এবং এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৮টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।

গুরুতর আহতদের মধ্যে পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ঢালী, যুবদল নেতা শাহআলমসহ অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের উপর গড়ে উঠা বড়স্টেশন মোলহেডের পর্যটন কেন্দ্র ব্যক্তি মালিকানাধীন অবৈধভাবে অসংখ্য দোকানপাট এবং শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন রাইড রয়েছে। অবৈধভাবে গড়ে উঠা লাভজনক এসকল দোকানপাট এবং শিশুদের বিনোদনের রাইডগুলোতে গত‌ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোগদখল করে আসছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি ও দখলবাজির সাথে জড়িত থাকা অংশের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এই সুযোগে পূর্বে চাঁদাবাজ- দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে থাকা চাঁদপুর শহরের অবৈধ স্থাপনাগুলো স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি অংশ দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যার থেকে বাদ যায়নি চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মোলহেডের পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার অবৈধ স্থাপনাগুলো দখল এবং নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্বচ্ছ রাজনীতির সাথে জড়িত স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনে বড়স্টেশন মোলহেডে ব্যাক্তি মালিকানায় পরিচালিত শিশু রাইডগুলো বন্ধ রাখা হয়। এই রাইডগুলো চালানো এবং অবৈধ দোকানপাটের নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদাবাজি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৭‌নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির সরকার, বিএনপি নেতা জিয়া প্রধানিয়া, সাবেক কাউন্সিলর আলী আহমদ সরকার, যুবদল নেতা কোরবান, শাহআলম, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ঢালীসহ আরও অনেকে।

৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে তারা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাত ৮টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত চলা এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে। আহতদের মধ্যে পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ঢালী, যুবদল নেতা শাহআলমসহ অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার,১ অক্টোবর ২০২৪