Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর বঙ্গবন্ধু সড়কে অহরহ দুর্ঘটনা : স্পীডব্রেকার জরুরি
চাঁদপুর বঙ্গবন্ধু সড়কে অহরহ দুর্ঘটনা : স্পীডব্রেকার জরুরি

চাঁদপুর বঙ্গবন্ধু সড়কে অহরহ দুর্ঘটনা : স্পীডব্রেকার জরুরি

আর কতো দুঘর্টনা ঘটলে চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে দুটি স্পীড ব্রেকার নির্মান করা হবে? ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রয়ই ছোট বড় অনেক সড়ক দুঘর্টনা ঘটে থাকে।

চাদপুর শহরের কিছুটা যানযট কমাতে প্রায় সাত আট বছর পূর্বে মিশন রোড হতে শুরু করে দর্জি ঘাট পর্যন্ত প্রথমে সড়কটি তৈরি হয়।

তারপর বিগত দু তিন বছর ধরে এই সড়কটি চঁদপুর ফরিদগঞ্জ ও রায়পুর সড়কের সাথে এটি সংযুক্ত হওয়ার পর থেকে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

প্রতিদিনই এ সড়ক দিয়ে বাস, ট্রাক , ভাউচার, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস , রিক্সা , অটোরিক্সা ও সিএনজি স্কুটারসহ ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে।

ফরিদগঞ্জসহ পাশ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার অধিকাংশ যানবাহন এখন এ সড়ক দিয়ে বেপরোয়া যাতায়াত করে থাকে। তাই এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই ছোট বড় অনেক সড়ক দুঘর্টনা অহরহ ঘটছে থাকে।

কিন্তু সড়কটির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন স্থানেই কোন স্পীড ব্রেকার নেই। তাই দিন দিনই বেড়ে চলেছে সড়ক দুঘর্টনা।

বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সড়কের হাজীবাড়ি মোহাম্মদী জামে মসজিদ ও শাহী ঈদগাহ হতে দর্জি বাড়ি পর্যন্ত এ মধ্যবর্তী স্থানে অধিকাংশ দুঘর্টনা গুলো হয়ে থাকে।

এজন্য স্থানীয়দদের দাবি অনুযায়ী ওই সড়কের হাজী বাড়ি মোহাম্মদী জামে মসজিদের পূর্ব এবং পশ্চিম অংশে দুটি স্পীড ব্রেকার জরুরি।

দুটি স্পীড ব্রেকারের জন্য এর পূর্বেও স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আজো সেখানে কোনো স্পীড ব্রেকার দেয়া হয়নি। এজন্য  সড়কের ওই স্থানে দুঘর্টনাও রোধ হচ্ছেনা। দুটি স্পীড ব্রেকার না থাকায় গত ১৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ও বঙ্গবন্ধু সড়কের হাজী বাড়ির সুম্মুখে দুটি সিএনজি স্কুটারের মুখোমুখি সংর্ঘষে চালকসহ ১০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়।

এদের মধ্যে ৬ জনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও  একজনের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এর পুর্বে ও একই স্থানে একটি প্রাইভেট কারের আঘাতে নিরব হোসেন নামে সাত বছর বয়সী এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।

শুধু যানবাহন দুর্ঘটনাই নয় মসজিদের দু স্থানে দুটি স্পীড ব্রেকার না থাকার কারণে অনেক সময় মসজিদের মুসল্লিরাও দুর্ঘটনার আতংকে থাকে।

এজন্য স্থানীয়রা মনে করছেন সড়কের বিভিন্ন স্থানে ক’টি স্পীড ব্রেকার দেয়া হলে  হয়তো সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।

তাই খুব দ্রুত ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে স্পীড ব্রেকার দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

 

 

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি