চাঁদপুর পৌর ৯নং ওয়ার্ডের বকাউল বাড়ি সড়কটির বেহাল দশায় স্থানীয় বাসিন্দারা এখন দুর্দশাগ্রস্ত। রাস্তাটি স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই কোন পৌর এলাকার রাস্তা মনে হয় না।
মরহুম আ. করিম পাটওয়ারী সড়কের পাটওয়ারী বাড়ি মসজিদের পূর্ব পাশে উত্তর দিকে বয়ে যাওয়া প্রায় ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কটি বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়।
এতে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারসহ রিকশা নিয়ে সড়কের ভেতর দিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা সাধারণভাবে হেঁটেও যাওয়া সম্ভব হয় না।
সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে সড়কটিতে গাড়ি প্রবেশ করার কথা ভাবতেও পারছেনা এলাকাবাসী।
অসুস্থ রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ভ্যান অথবা রিকসাও এ সড়কটিতে প্রবেশ করছেনা। রাতে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় মানুষের চলাচল একেবারেই অসম্ভব। স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থীরা পানি দিয়ে পায়ে হেঁটে আসা-যাওয়া করছে।
বড় বড় দালান কোঠা দিনের পর দিন ওপরের দিকে বেড়ে উঠলেও সড়কটির এ অবস্থায় ওয়ার্ডবাসী অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে চলাচল করছে।
সড়কের দক্ষিণ পাশে একটি এবং উত্তর পাশে একটি মসজিদ থাকলেও নিয়মিত নামাজ আদায় করতে একজন মুসল্লীর হেঁটে আসার সময় প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে হোঁচট খেতে হয়।
ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাজুক। ড্রেন দিয়ে দক্ষিণ দিকে পানি বা আবর্জনা নিষ্কাশন হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে উত্তর দিকে। এতে উত্তর এলাকায় পরিবেশ দূষণ বেড়েই চলছে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, দু’তিন বছর ধরেই সড়কটির এ দুরবস্থা ও বেহালদশা। অথচ সড়কটি দেশের প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সড়ক। এখানের হোল্ডিং সংখ্যা প্রায় তিন সহস্রাধিক। ভাড়াটিয়াসহ লোক সংখ্যা প্রায়ই ৪ হাজার।
বিষয়টি নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সেবা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করলেও তারা কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের স্থায়ী বাসিন্দা আবদুল মালেক চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘সড়কটির জন্য স্থানীয়রা নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বহুবার পৌরসভার কাউন্সিলরের নিকট বিষয়টি অবহিত করেও প্রতিকার পাচ্ছি না। মানুষের প্রয়োজনেই উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও এ সড়কের বেলায় কেন হচ্ছেনা তা’ বুঝতে পারছি না।’
আবদুল আজিজ খান দুদু বলেন, ‘চাঁদপুর পৌরসভার এত উন্নয়নমূলক কাজ হয় এ সড়কটির কোনোই উন্নয়ন হয়নি। দেশের প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভায় এত নাজুক পরিস্থিতির সড়ক থাকতে পারে না। কংক্রিট ফেলে হলেও সড়কটি সাময়িক চলাচলের উপযোগী করা যায়।’
৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.বিল্লাল মাঝির মুঠোফোনে (০১৯৩৯২৮৯ ৭৪৯) একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:০০ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ