চাঁদপুর প্রেসক্লাব কমিটির সংস্কার ও পুনর্গঠন

ছাত্র গণঅভুথ্যান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তাদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও সদস্যদের নিরাপত্তা এবং সাংবাদিক সমাজের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন যে, উদ্ভুত পরিস্থতিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ও গণহত্যার পক্ষে অবস্থানকারী সাংবাদিক এএইচএম আহসান উল্লাহ, শহীদ পাটওয়ারী, কাজী শাহাদাত, শরীফ চৌধুরী, আব্দুর রহমান কে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সকল পদ-পদবী থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী গণআন্দোলনের সময়ে প্রকাশ্যে বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুতপ্ত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদ পূণর্গঠন করে যোগ্যতা থাকার পরও যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সমঝোতা কমিটি সংযোজন বিয়োজন করে পুনর্গঠন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত উপকমিটি ভেঙ্গে পুনর্গঠন এবং ব্যক্তি বিদ্বেষ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যোগ্যতা থাকার পরও যারা চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে অন্তভুক্তি হতে পারেন নাই কোটা খালি থাকা সাপেক্ষে তাদেরকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করা হয় হবে বলে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট শনিবার চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সামনে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের বেনারে উল্লেখিত সাংবাদিকগণ উপস্থিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে উসকানীমুলক বক্তব্য প্রদান এবং গণহত্যাকে উৎসাহিত করে মানববন্ধন করেন। এর পেক্ষিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।

এরপর থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা প্রেসক্লাবের সামনে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে তারা চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের অপসারণের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে একাধিকবার মানবন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। এমনকি দাবী না মানার কারণে তারা প্রেসক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে চাঁদপুরের সাংবাদিকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দৈনিক চাঁদপুর সময় সম্পাদক ও চাঁদপুর টাইমস এর সম্পাদক ও প্রকাশাক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল উদ্যোগী হয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অগ্রণি ভূমিকা পালন করেন।

এসময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র ও প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন অংশের সাথে বার বার বৈঠক করে সুরাহা করার চেষ্টা করেন। অবশেষে সবপক্ষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উক্ত সিদ্ধান্তে উপনিত হয়।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৬ আগস্ট ২০২৪

Share