চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শাহ্ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম এবং আজীবন সদস্য ও বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী কাজী মাহবুবুল হক এর মৃত্যুতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে (৩য় তলা) এ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন।
সঞ্চালনায় ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ।
মিলাদ ও দোয়ার পূর্বে মরহুমদের স্মরনে স্মৃতিচারন করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইকবাল বিন বাশার, কাজী শাহাদাত, দোকান-মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক হায়দার চৌধুরী প্রমূখ।
শাহ্ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলমের পরিবারের তরফ থেকে বক্তব্য রাখেন, শাহ্ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, শাহ্ মোহাম্মদ মাকসুদুল তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে সবসময় অটল থাকতেন। তাছাড়া আপনারা সাংবাদিকেরা তাঁ স্বভাবের কথা আমার থেকে আপনারা ভালোই জানেন। চেষ্টা করেছিলাম তাঁর আরও চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম কিন্তু তা আর সম্পন্ন হয়নি। আল্লাহতালা তাঁর মৃত্যু এই ভাবেই রেখেছেন। মানুষ মরে গেলে কিছুই থাকে না, তাঁ কোন ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এছাড়াও বক্তারা স্মৃতিচারন করে বলেন, আমরা চলতি বছরে এ দুজন ছাড়াও আরও কয়েকজন সাংবাদিকসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্খী হারিয়েছি। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শাহ্ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম ও কাজী মাহবুবুল হকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
মাকসুদুল আলম সম্পর্কে বক্তারা স্মৃতিচারন করে বলেন, খুব মেধাবী একজন সাংবাদিক ছিলেন। সৃজনশীল সাংবাদিকদের মধ্যে উনি ছিলেন একজন। খবর সুন্দর করে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে তাঁর কোন বিকল্প নেই। তাঁর যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমান চাঁদপুরে রেখে গেছেন।
কাজী মাহবুবুল হক সম্পর্কে স্মৃতিচারন করে বলেন, প্রতিটা ভালো কাজে তিনি অংশগ্রহন করার চেষ্টা করতেন। তিনি মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক দান করেছেন। অনেক গরীব মানুষের উপকার করেছিলেন।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের খতিব মো: মোশারফ হোসেন।
মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারন সম্পাদকসহ জাতীয় ও স্থানীয় গনমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,১ অক্টোবর ২০২০