চাঁদপুর

চাঁদপুর প্রশাসনের মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাসিক আইন শৃঙ্খলার সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় তা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি এমপি।

বক্তব্যে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোনোভাবে সরকারের নিদের্শনার বাইরে যেতে পারবেন না। পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিকেল ৫টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। যদি কেউ সন্ধ্যা ৬টায় যেতে চায় তা দেয়া হবে না। আমরা সাফল্যের সাথে জঙ্গি মোকাবেলা করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। যে যে ধর্মের হোক তারা ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা করতে পারে। কিন্তু তা সীমাবদ্ধের মধ্যে থাকতে হবে। যারা ওয়াজের আয়োজন করে তাদেরকে আপনারা খবর দিয়ে এনে সভা করে প্রয়োজনীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিবেন। শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হতে গেলে যেমন যোগ্যতা লাগে তেমনি ধর্মালোচক হতে হলে যোগ্যতা থাকতে হবে।

জাটকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘জেলেদের আরো বেশি সচেতন করতে হলে জেলে পাড়ায় গিয়ে উঠান বৈঠক করা প্রয়োজন। যদি কোন জেলে জাটকা ধরে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইন ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি তার জেলে কার্ড বাতিল করা হবে।

সামাজিক অপরাধ সম্পর্কে বলেন, ‘সকল উপজেলায় আমরা মাদক, জঙ্গিবাদ ও বাল্যবিয়ে সম্পর্কে সভা করলে সমাজ থেকে এই তিনটি জঘন্য বিষয় নির্মূল করা সম্ভব হবে। আমরা যার যার অবস্থান থেকে এর বিরুদ্ধে কাজ করবো। স্বাধীন দেশের মাটিতে মাদক, জঙ্গিবাদ ও বাল্য বিয়ের কোন স্থান দেয়া হবে না।’

সভায় অন্যান্য কর্মকর্তারা বক্তব্যে বলেন, জঙ্গিবাদ বাল্য বিয়ে ও মাদক নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের এই কাজের সাথে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করছে। সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ জঙ্গিবাদ সম্পর্কে গোপনে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। জেলেরা চুরি করে জাটকা নিধন করছে। তার বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান চালাতে হবে।

তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার ইলিশ সম্পদ নিয়ে চাঁদপুরকে ব্র্যান্ডিং করেছে। অসাধু দাদনদারগণ জেলদের দাদন দিয়ে নদীতে জাটকা নিধনের জন্য নামাচ্ছে। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে।

এরা আরও বলেন, ওয়াজের অনুমতি নিতে আসলে ওয়াজ আয়োজকদেরকে শর্ত দিতে হবে, কয়টি হর্ণ স্থাপন করা হবে এবং কী ধরনের প্যান্ডেল করা হবে সেই সম্পর্কে। হাজীগঞ্জ উপজেলায় যে মন্দির নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে তা উভয় পক্ষকে সমযোতায় এনে কমিটি করার জন্য দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, নৌ পুলিশ সুপার শুভ্রত হালদার, ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহবুব আলম লিপন, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার এন.এনায়েত উল্লাহ, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ এম.জি ফারুক ভূইয়া, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালী উল্লাহ অলি, হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহআলম, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৫৩ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Share