Feb 20, 2015 @ 21 : 57
এম এ আকিব:
চাঁদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে আপাতদৃষ্টিতে শত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। তবে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি-না তা নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি প্রার্থীরাও রয়েছেন শঙ্কায়।
ফলে ভোট চেয়ে ভোটারদের দুয়ারে এখনো কোন প্রার্থীই কড়া নাড়ছেন না।
এর কারন দেখিয়ে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন এমন একাধিক প্রার্থী এ প্রতিবেদককে জানান, এবারের নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য যে কোন একটি মহলের সার্থসংশ্লিষ্টতার কারনে নির্বাচনটি এক ধরণের নিয়ম রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পায়তারা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও কোন প্রার্থী ও ভোটাররা যেন বিষয়টি উপলব্ধিও না করতে পারেন, সে লক্ষে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াটিকে ঘোলা করে তুলছেন। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে বিষয়টি ধিরে ধিরে প্রার্থী এবং ভোটারদের মাঝে অনেকটাই পরিস্কার হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
আকার ইঙ্গিতে অস্পষ্টভাবে অনেক কথা বললে ও সু-স্পষ্টকরে কোনো প্রার্থীই মুখ খুলে কিছুই বলতে চাইছেন না। তারা বলছেন অপেক্ষা করেন সময় হলেই সব জানতে পারবেন।
বিজ্ঞমহলের অনেকেই বলছেন, নির্বাচনটি নিয়ে যে ধরণের আইনি জটিলতা রয়েছে তা কাটিয়ে ওঠতে না পারলে বা নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি হলে আবারো স্থগিত হতে পারে।
এমন ঘোলাটে পরিস্থিতিতে এ যাবতকালে চাঁদপুর পৌারসভার নির্বাচনী তফসিল ঘোষনায় যে ধরণের উৎসাহ-উদ্দিপনা প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে সৃষ্টি হতো তা এবার দেখা যাচ্ছে না। প্রার্থীরা অনেকটাই নিরব থাকায় ভোটাররাও এ বিষয়ে আলোকপাত করতে নারাজ। কিছু ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা যায় ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া।
কেউ বলছেন নির্বাচন হলে ভোট দেবো তবে প্রার্থীরা ভোট না চাইলে দেবো না। আবার কিউ বলছেন যেখানে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি, সেখানে পৌরসভার নির্বাচনে ভোট দেয়ার প্রয়োজন নেই। আবার কেউ বলছেন এ নির্বাচনে যেসব প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন তারা শুধু মাত্র নিয়ম রক্ষার জন্যই অংশ নিচ্ছেন। কারণ নির্বাচনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও হাইমচরের উপজেলা নির্বাচনের আদলেই হবে। এখানে আমাদের ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে না।
ভোটারদের এমন মনোভাবের কারণ ব্যাক্ষ্যা দিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেসকরা বলছেন, মূলত অতিথ তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকেই ভোটারদের মনে এমন ধারণা জন্ম নিয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমানে সাধারণ মানুষ যেখানে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে না এবং জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই, সেখানে নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিবিদরা ভাবলেও সাধারণ মানুষ তা ভাবছে না। ফলে এমন মনোভাব প্রকাশ পাওয়াটাই সাভাবিক।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন ২০১৫-এর রিটার্নিং অফিসার মো. আতাউর রহমান জানান, সকল আইনি জটিলতা কাটিয়ে চাঁদপুর পৌরসভার সধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী সব ঠিক থাকলে আগামী ২৯ মার্চ সাভাবিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনটি সম্পন্ন করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদি।