চাঁদপুর পৌর এলাকার উন্নয়ন করতে হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেছেন,চাঁদপুর পৌর এলাকার বেশীর ভাগ জায়গা বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গার মধ্যে পড়েছে। তাই আমরা চাঁদপুর পৌর এলাকার উন্নয়ন করতে হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি রেলওয়ে কর্মর্তাদের সাথে ব্যাপক আলোচনায় কালে তাদের উর্দেশে এসব কথা বলেন।

এ সময় মেয়র শহরে বড় ষ্টেশন থেকে কোর্ট ষ্টেশন পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্তকরন ,শহরের রেলওয়ে বড় স্টেশনের নতুন ভবন ও ফ্লাট ফরম করার ফলে এখন ওভারব্রীজ নির্মান,কোর্ট ষ্টেশন এলাকায় গেইট ব্যারিয়ার ও রাস্তাটি প্রশস্তকরন,লেকের পাড়ের ছায়াবানী এলাকার রাস্তাটি প্রশস্তকরন,রেলওয়ের ২টি লেককে পৌর খরচে বাধাই ও দৃস্টিনন্দন,নান্দনিক করা ও রেলওয়ের যে সকল পুকুর ব্যক্তি মালিকানায় রয়েছে,সেগুলো পৌরসভাকে লিজের মাধ্যমে দিলে পৌরসভা সেখানে ইজিবাইক স্ট্রেন্ড নির্মান ও চাঁদপুর বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী গনশোচাগার করতে পারে বলে ব্যাপক আলোচলায় তিনি মিলিত হয়ে এ সব উল্লেখ করেন।

সোমবার(৩১ জানুয়ারী) শেষ বিকেলে চাঁদপুর পৌরসভার সন্মেলন হলে চাঁদপুর পৌর এলাকার উন্নয়নে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল, পৌর পরিষদের কর্মকতা ও পৌর কাউন্সিলদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ রেলওয়ের কুমিল্লায় দায়িত্বরত সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোরছালিন রহমান,কুমিল্লা ও লাকসামের দায়িত্বরত কর্মকর্তা উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী(এসএসএ/ই পথ) মো: লিয়াকত আলী মজুমদার,চাঁদপুর পৌর সচিব মো: আবুল কালাম ভুঁইয়া, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, কাউন্সিলর মো: মালেক শেখ,মো: হাবিবুর রহমান দর্জিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তাদের সাথে ছিলেন,চাঁদপুরস্থ রেলওয়ে আইডব্লিউ অফিসের অফিস সহকারী মো: সোলেমান ভঁইয়া।

এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল আরো বলেন,চাঁদপুর পৌর এলাকার উন্নয়নে শহরের বড় ষ্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে শহরের বাইতুল আমিন রেলওয়ে মসজিদ এলাকা পর্যন্ত এ রাস্তাটি পূর্নসংস্কারসহ এ ২কি:মি: রাস্তাটি প্রশস্তকরন করতে হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতার জন্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা কামনা করেন।

তিনি শহরের প্রধান সড়কটির মধ্যে বড় স্টেশন থেকে চাঁদপুর কোর্টস্টেশন পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্ত করে যানবাহন চলাচলের সড়কটি পাশে বদ্ধিতকরন নিয়ে আলোকপাত করে। তিনি শহরের বড় ষ্টেশন এলাকায় ষ্টেশন ভবন নতুন করে করা,ফ্লাটফরম বদ্ধিতকরন করায় রাস্তার উত্তর দিক ও দক্ষিন দিক থেকে রেলওয়ে যাত্রী ও এলাকাবাসী পাড়াপাড়ের জন্য ওভার ব্রীজ নির্মান করার সময় সাধারন জনগন যেন ২দিক থেকে যাতায়াত করতে পারে সে জন্য নামা উঠার জন্য সিড়ির ব্যবস্থা রাখার জন্য রেলওয়ের কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব রাখেন।

শহরের কোর্ট ষ্টেশন এলাকায় অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদ করে রেলওয়ে কোর্ট ষ্টেশন গেইট ব্যারিয়ারি এলাকার রাস্তাটি জনগনের চলাচল ও পাড়াপাড়ের জন্য বড় করার জন্য সহায়তা চান। শহরের লেকেরপাড় সাবেক ছায়াবানী হল এলাকার রেলওয়ের গেইট ব্যারিয়ার এলাকার ২পাশের দোকানগুরো আরো পিছনের দিকে নিয়ে এ রাস্তাটি প্রশস্ত করার জন্য কি ধরনের সহায়তা কর্মকর্তারা করতে পারে সে সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহন করেন।

শহরের হাসান আলী সরকারী স্কুল মাঠের দক্ষিন দিকের লেক ও মিশন রোডস্থ এলাকার লেকটির ২পাড় বাধাই করে সেখানে ঢাকার হাতির ঝীলের মত আদলে দৃষ্টিনন্দন ফুয়ারা নির্মান করতে পৌরসভার খরচে করার হবে সে বিষয়ে পৌরসভা রেলওয়ে থেকে কি ধরনের সহায়তা পেতে তার জন্য তাদের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও সহায়তার জন্য তাদেরকে বলেন।
এ ছাড়া রেলওয়ের যে সকল পুকুর মাছ চাষ করার জন্য লীজ দেওয়া হয়েছে,সে গুলি পৌর সভাকে ভরাট করে দিয়ে পৌরসভার কাজে লীজ দেওয়ার সুযোগ দিলে পৌরসভা কর্মাশিয়াল রেইটে লীজ নেওয়ার জন্য আগ্রহী রয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, যে সব পুকুর লীজ আছে মাছ চাষের জন্য, সেগুলো পৌরসভাকে উন্নয়ন কাজের জন্য দেওয়া যায়কিনা ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য পরামর্শ করেন।

বিশেষ করে চাঁদপুর পৌরসভা দেশের মধ্যে একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হওয়া সত্বেও শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থান শহরের কোর্টস্টেশন এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের বিচরন হলেও সেখানে একটি পাবলিক টয়লেট নেই। এ ছাড়া এ শহরের কয়েক হাজার ইজিবাইক রাখার একটি স্ট্রেন্ড না’থাকায় সাধারন জনগন প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
তাই সে গুরুত্বপূর্ন বিষয়টির প্রতি ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সাথে পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল ব্যাপক আলোচনায় মিলিত হন। এ সময় রেলওয়ের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষ থেকে সরকারের নিয়ম নিতির মধ্যে যতটুকু সম্বব সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন এবং সহায়তা করবেন বলেও আহবান জানান।

এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের কুমিল্লায় দায়িত্বরত ও চাঁদপুরেরও দায়িত্বে থাকা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোরছালিন রহমান বলেন,বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান চট্রগ্রাম বিভাগীয় মহাপরিচালক (জিএম) ও চট্রগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) অত্যান্তমান ভাল মনের মানুষ। তাদের সাথে আলাপ করে চাঁদপুর রেলওয়ের জায়গায় পৌর এলাকার উন্নয়নে সহায়তা চাইলে তা’পেতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস। এ ছাড়া তিনি আরো পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন,এ ক্ষেত্রে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুরের সাংসদ হিসেবে ডা: দীপুর মনির মাধ্যমে সহায়তা চাইলে আপনারা অতিদ্রুত সময়ে যে কোন সহায়তা পাবেন এবং চাঁদপুর পৌরসভা এলাকার উন্নয়ন করতে পারবেন।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ৩১ জুলাই ২০২৩

Share