চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ঘাট জিটি রোডে মুক্তা আক্তার সুখি (১৬) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
১১ অক্টোবর,রোববার দুপুরে উত্তর বিষ্ণুদী জিটি রোডের কোহিলী ভিলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মুক্তা আক্তার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মফিজ মিজির মেয়ে। তার মা মাসুদা বেগম চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য। পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
মুক্তার ভাই মুন্না মিজি জানান,‘আমি সিএনজি চালাই। বিশেষ করে রাতের বেলায় আমি গাড়ি চালাই। দুপুরে বাসায় এসে কয়েকবার দরজা নক করি। বেশ কয়েকবার নক করে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় দরজায় জোরে আঘাত করতে থাকি। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে আমি ভেতরে ঢুকে আমার বোনের রুমের সামনে গিয়ে দেখি, ফ্যানের সাথে ওর লাশ ঝুলে আছে। দ্রুত আমি আশপাশের সবাইকে ডেকে আনি এবং আম্মা-আব্বাকে ফোন দিই।’
মাসুদা বেগম জানান,‘সকালে চাল বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আমি ইউনিয়ন পরিষদে যাই। যাওয়ার সময় বাসায় একা ছিল মুক্তা। কয়েকটি কাগজ ভুলে রেখে যাওয়ায় কিছু দূর গিয়ে আবার বাসায় আসি। মুক্তা বাসার জানালা দিয়ে আমাকে কাগজপত্র দেয়। তার সাথে কথাবার্তা বলে আমি কাজে বের হই। পরবর্তীতে দুপুরে আমার ছেলে ফোন করে জানায় মুক্তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক বাসায় চলে আসি। কী কারণে আমার মেয়ে এমন একটি পদক্ষেপ নিল কিছুই জানি না। সকালেও সে আমার সাথে খুব ভালোভাবে কথা বলেছে এবং সে খুব স্বাভাবিক ছিল।’
মুক্তার বাবা মফিজ মিজি জানান, ‘কী কারণে আমার মেয়ে এমন কাজ করলো কিছুই বুঝতে পারছি না। প্রেম ঘটিত কোনো ব্যাপারও আমার জানা নেই।’
চাঁদপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, প্রতিবেশি এক নারীর মাধ্যমে মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
করেসপন্ডেট,১২ অক্টোবর ২০২০