চাঁদপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ বকুলতলা রোডটি প্রশস্ত করে এই সড়কটির সাথে বড় স্টেশনগামী সড়কের সংযোগ করে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আর এটি করতে গিয়ে বকুলতলা রোডটির দুই পাশে থাকা বেশ কিছু দোকান এবং বাসা বাড়ির অংশ ভাঙ্গা পড়বে।
কারণ, অসাধু মালিকরা তাদের দোকান এবং বাসাবাড়ি করতে গিয়ে পৌরসভার রাস্তার অংশও কিছু দখল করে নিয়েছে। হাঁটাচলার পথ তথা ফুটপাত তো নেই, এমনকি রাস্তার উপর এসে গেছে দোকানের অংশ। রোডের উভয় পাশে ৩/৪ ফুট রাস্তার জায়গা দখল করে আছে দোকানদাররা। এভাবেই রাস্তাটিকে সঙ্কুচিত করে ফেলা হয়েছে। তার উপর আবার রয়েছে কাঁচামালের আড়ত ব্যবসায়ীদের চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা এবং খামখেয়ালিপনা।
দেখা গেছে যে, দোকানের বাইরে রাস্তার অর্ধেক জুড়ে থাকে মালামাল। অথচ দোকান খালি। এভাবেই এই রোডটি দিয়ে মানুষের হাঁটাচলায় মারাত্মক বিঘœ ঘটানো হচ্ছে।
মানুষের দীর্ঘদিনের এই দুর্ভোগ লাঘবে এবং বড় স্টেশন রোড থেকে বিকল্প রোড হিসেবে ব্যবহারের জন্যে বকুলতলা রোডটি প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে গতকাল পৌর কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে বকুলতলা রোডে প্রবেশ মুখে থাকা জনৈক বাদশা ভূঁইয়ার কাঁচামালের আড়ত ঘরের স্লোপ ভেঙ্গে ফেলে। এই অংশ রাস্তা দখল করে নিয়েছিল। তাই ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এছাড়া পুরো রাস্তার দুইপাশে যারা রাস্তার অংশ দখল করে আছেন তাদেরকে নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে কোনো দোকানের মালামাল যেনো দোকানের বাইরে রাস্তায় না রাখা হয় এবং এই গলিপথের ভেতরে যেনো কোনো ভ্যানগাড়ি ঢুকানো না হয় সে নির্দেশনা দেয়া হয় আড়ত ব্যবসায়ীদের। এসব করে কোনোভাবেই যেনো মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা না হয়।
বকুলতলা রোডের পর পালবাজারের ভেতরে গিয়েও পৌর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় কিছু কিছু দোকানের বর্ধিত অংশ তথা মূল দোকানের অংশ অতিক্রম করে বাজারের গলিপথ দখল করে করা অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। এছাড়া মুরগির দোকানের খাঁচা সব ভেতরে নিয়ে যাওয়ার কড়া নির্দেশনা দেয়া হয় এবং তাৎক্ষণিক সব খাঁচা দোকানের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবেই পুরো বাজারটিতে গতকাল দীর্ঘসময় নিয়ে অভিযান চালিয়ে শৃঙ্খলা আনা হয়।
আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সোহেল রানা এবং সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খালেদা বেগম। তাঁদের সাথে ছিলেন পৌরসভার বাজার শাখার কর্মকর্তাগণ।
বকুলতলা রোডের বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সোহেল রানা বলেন, এই রোডটি কমপক্ষে ১২ ফুট প্রশস্ত করার পরিকল্পনা আছে আমাদের মেয়র মহোদয়ের। শপথ চত্বরসহ কালীবাড়ি এলাকার উপর যানবাহনের চাপ কিছুটা কমাতে বকুলতলা রোডটিকে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজে লাগাতে এটিকে প্রশস্ত করা হবে।
সোহেল রানা আরো জানান, আমাদের পৌর পিতা অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের নেতৃত্বে এভাবেই আমরা পৌর পরিষদ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
স্টাফ করেসপন্ডেট,৫ নভেম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur