চাঁদপুর পুরাণবাজারে কেঁচো খুঁড়তে সাপের সন্ধান!

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে আবারো নকল পণ্য তৈরীর কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কেঁচো খুঁড়তে সাপের সন্ধানের মতোই ৩টি নকল পণ্য তৈরির কারখানা পেয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

সন্ধান পওয়া ওই ৩ কারখানায় নকল সেভিং ফোম, লোশন ও পশু-পাখির ঔষধসহ বিভিন্ন প্রকার ভেজাল পণ্য তৈরি করা হতো। এছাড়াও রকি দাঁতের মাজন নামের এক কারখানায় বিএসটিআইয়ে মানচিত্র নকল করে ব্যবহার করা হতো।

এসব অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত নকল সেভিং ফোম প্রস্তুতকারী লক্ষণকে ৩০ হাজার, বিএসটিআই-এর লগো নকল করে সেভিং লোসান প্রস্তুতকারী তুসারকে ৪০ হাজার এবং ভেজাল পশু-পাখির ঔষধ তৈরির অপরাধে কথিত ডাক্তার রকিকে ২০ হাজারসহ সর্বমোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

জব্দকৃত নকল পণ্যে ও ক্যামিক্যাল জনসম্মুখে বিনষ্ট করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী আশ্রাফুল করিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই (চট্টগ্রাম) ইন্সপেক্টর মামুনুর রহমান, জেলা মার্কেটিং অফিসার এনএম রেজাউল, চাঁদপুর মডেল থানার এসআই নিজাম ভুইয়া, ডিবি পুলিশের এসআই ফিরোজ আলম, এএসআই আহসানুজ্জামান লাবু।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি নকল পণ্য তৈরির কারখানার অভিযান চালিয়ে নকল পণ্য ও পণ্য তৈরীর কাঁচামাল জব্দ করা হয়। এতে ওই স্থানেই চাঁদপুর সদরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী আশ্রাফুল করিম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত ৩ ব্যবসায়ীকে নগদ অর্থদন্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে।

ওই ঘটনায় জব্দকৃত মালামাল পুড়িয়ে বিনষ্ট ও দু’টি গোডাউন সিলগালা করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী আশ্রাফুল করিম ও বিএসটিআই-এর (চট্টগ্রাম) ইন্সপেক্টর মামুনুর রহমান সিলগালাকৃত ভেজাল পণ্যে দু’গোডাউনের পণ্য বিএসটিআই করা আছে কি না তা যাচাই করতে আসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ ক’জন এলকাবাসী জানায়, পুরাণবাজারে এমন আরো অনেক ভেজাল পণ্য তৈরির কারখানা রয়েছে।

আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট

।।আপডেট : ০১:৪৪ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, শুক্রবার
ডিএইচ

Share