চাঁদপুরের বহরিয়া লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন ও কোটরাবাদ এলাকায় এক পাগলা কুকুরের কামড়ে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুসহ অন্তত অর্ধশথ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। অনেকে নিজ খরচে বাহির থেকে ব্যক্সিন নিয়ে ডাক্তারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করে।
এদিকে গুরুতর আহত দু’শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন ও কোটরাবাদ এলাকার সুমা (২৭) তার শিশু ছেলে শ্রাবণ (৮), রহিমা (১৭), নূরজাহান (১৯), তানিয়া (১২), শাহিন (১১), আয়শা আক্তার (১৭), জিহাদ (৫), স্মৃতি (১০), সাধনা (৫০), তানজিলা (৪), শারমিন (২০), আয়শা (২৬), নূরজাহান (১৯), শহিদ (১০), মনোয়ারা (৩৫), ফাতেহা (২০), শাহিন (৩), মোমিন হোসেন (১২), নূরজাহান (৮), হৃদয় (১০), আব্দুর রশিদ (৪০), রাজ (১০), মিম আক্তার (১২), ঋণী (১৮)। এরাসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে স্বজনরা জানায়।
এছাড়াও মঙ্গলবার দিবাগত রাতেও একই গ্রাম থেকে কুকুরের কামড়ে ১০ জন আহত হয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আহতদের নিয়ে আসা স্বজনরা জানায়, একটি কালো বর্ণের পাগলা কুকুর লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশেপাশে উকিল বাড়ি, ইসমাইল খান বাড়িসহ ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়ে দিয়েছে। এছাড়াও রাস্তায় চলাচলরত যাকে সামনে পেয়েছে তাকে কামড়ে দিয়েছে।
তারা জানায়, কুকুরটি যতদূর গেছে ততোদূর পর্যন্ত যাকে সামনে পেয়েছে, তাকেই কামড়ে আহত করেছে, অনেকে গায়ের উপর লাফিয়ে উঠে শরীরের বিভিন্ন অংশ কামড়িয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
চাঁগদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল আবেদিন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘হঠাৎ একসাথে এতো রুগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও জরুরি বিভাগের ব্রাদারদের হিমশিম খেতে হয়েছে। হাসপাতালের ব্যাক্সিন শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক রুগীকে বাইরে থেকে ব্যক্সিন সংগ্রহ করে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।’
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ২: ১০ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ