চাঁদপুর

‘ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুর পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটবে’

ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরকে নিয়ে আগামি দিনের ভাবনা, পর্যটন শিল্প বিকাশ, জেলার উন্নয়নসহ নানা বিষয় নিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সাথে একান্ত কথা হয় চাঁদপুরে প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদীর সাথে।

সিনিয়র এ সাংবাদিকের সাথে দেশসেরা ও আলোচিত জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাঁর কার্যালয়ে ব্যান্ডিং বিষয়ে একান্ত আলাপচারিতায় যা বলেছেন তার চুম্বক অংশ চাঁদপুর টাইমস পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

‘আমি একজন আমলা হিসেবে রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি । নাগরিক সেবায় কাজ করছি । চাঁদপুরসহ যে জায়গায়ই চাকরি করেছি সেখানে জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি । চাঁদপুরে যোগদানের পর চাঁদপুর জেলার সমৃদ্ধি, উন্নয়ন, সম্ভাবনা নিয়ে কাজ শুরু করি । জনগণকে সাথে নিয়ে এসব কাজ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি । ইতোমধ্যে নাগরিকদের সরকারি সেবা অনলাইনে আনার কাজ করছি, বিশেষ করে ই-ভুমি সেবা ,ই-স্বাস্থ্যসেবা অনলাইনে আনা হয়েছে, সরকারি অন্যান্য দপ্তরগুলো অনেকাংশে ই-সেবার আওতায় আনা হয়েছে ।

২০১৭ সালের মধ্যে সরকারি সকল দপ্তরের নাগরিক সেবা অনলাইনে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের প্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুর তুলে ধরতে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ চলছে । ইলিশকে প্রধান ব্র্যান্ডিং হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি । এতে চাঁদপুর পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ব্যাপক উন্নয়ন হবে । বড়স্টেশন মোলহেড ত্রিনদী মোহনাকে ঘিরে পর্যটন শিল্প বিকাশ করতে ওই এলাকায় ভ্রমণ পিপাপুদের পর্যটকদের জন্য মিনি হোটেল, রেস্তোরাঁ, নতুন নতুন হোটেল, রাস্তঘাট সংস্কার, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে ।

এর মধ্যে দেশে প্রথম চাঁদপুর এবং ঢাকায় ইলিশ মেলার আয়োজন করা হয়েছে । ইলিশ মেলায় চাঁদপুরের ইলিশ নিয়ে হরেকরকম রেসিপিসহ নানা আয়োজন ছিলো।

যা কিনা সরকারকে আকৃষ্ট করেছে। বড়স্টেশন মাছ ঘাটে ই-ইলিশ বাজার (অনলাইন ইলিশ ক্রয় পদ্ধতি) উদ্বোধন করা হয়েছে । যা সহসাই কার্যক্রম চালু হবে ।

ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার । এর সুফল পাবে চাঁদপুর জেলাবাসী ।

জনগণের ব্যাপক সমর্থনের কারণে এসব কাজ করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, চাঁদপুর শিশুপার্ক, হাউজিং অনুমোদন পেয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার উদ্যোগে অচিরেই কাজ শুরু হবে । ক্লিন চাঁদপুর ও গ্রিন চাঁদপুর বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । জনগণ এ কাজে এগিয়ে এসেছে । আশা করছি এটিও সফল হবে ।

সবশেষে দেশের আলোচিত এ জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রতিটি কাজে জনপ্রতিনিধি ,সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, রাজনীতিবীদদের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি। যার কারণে চাঁদপুরে অনেক বড় বড় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে ।

অনুলিখন : সোহেল রুশদী
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ০০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share