কুমিল্লায় পৃথক ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮জন নিহত হয়েছে।শনিবার(১৯ জানুয়ারি) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২ জন নিহত হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক এখলাসুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেট কারের সামনের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে প্রাইভেট কারের যাত্রী টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির ও একই জেলার টাকুরটাকুর এলাকার আশেক আলীর ছেলে মজিবুর রহমান নিহত হন।
এছাড়া দুপুরে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাস স্ট্যান্ডে সিডিএম পরিবহনের একটি বাস পথচারী এক মহিলাকে চাপা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ওই মহিলাসহ বাসের দুই যাত্রী নিহত হন। পথচারী মহিলা দাউদকান্দির ঢাকারগাঁও গ্রামের আবুল খায়েরের স্ত্রী নুরুন্নেসা বেগম। বাস যাত্রী দাউদকান্দির কুশিয়ারা গ্রামের শরীফ আলীর ছেলে মো.সুমন। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিকেলে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টমেন্ট এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি চাপায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারী নিহত হন।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় ঘটে প্রথম দুর্ঘটনা।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান,কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাস সকালে ইলিয়টগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় একটি ক্যাভার্ড ভ্যানকে পিছন থেকে থাক্কা দেয়,এসময় পিছন থেকে অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দেয় গ্রীন লাইন বাসটিকে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় বাসের সুপার ভাইজার এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে নিহত হন বাসের হেলপার।
নিহত হেলপার মানোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ জেলা সদরের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে এবং সুপার ভাইজার ফাহাদ আল রাজী ফয়সাল কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকার মৃত কায়কোবাদের ছেলে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ও ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন। দুপুরে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল
১৯ জানুয়ারি,২০১৯