চাঁদপুর

যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ১২ মণ জাটকা জব্দ : অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ

চাঁদপুর নৌ পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ১২ মন জাটকা আটক করা হয়েছে। নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে আটককৃত জাটকা খাবার হোটেল এবং অনত্র বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে চাঁদপুর মাদ্রাসা রোড লঞ্চঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহিদুল ইসলাম সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন যাত্রীবাহী লঞ্চে অভিযান চালিয়ে জাটকা গুলো আটক করেন।

তবে জাটকা আটক করা হলেও লঞ্চ কিংবা কোন ব্যাক্তিকে আটক করতে পারেনি নৌ পুলিশ কৃর্তপক্ষ।

চাঁদপুর নৌ পুলিশ কৃর্তপক্ষ জানান সোমবার রাতে এম ভি ফয়সাল ২ এবং ফয়সাল ৫ থেকে ৩ ড্রাম জাটকা ইলিশ আটক করেন। এছাড়া এম ভি কোকো ১ ও কোকো ৫ থেকে ৩ ড্রাম, এমভি ছাব্বির ১ থেকে ১ ড্রাম এম ভি শ্রীনগর ২ থেকে ১ ড্রাম জাটকা আটক করা হয়। সব মিলিয়ে ১২ মন জাটকা ইলিশ আটক করেন নৌ পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য হবে ৯০ হাজার টাকা।

পরে ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃত জাটকা গুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্মে হাবিবা হিরা।

তিনি জানান, আটককৃত জাটকাগুলো এখন সরকারি কোষাগারে রাখা হবে। আটকৃত অন্যান্য জাটকার সাথে পরবর্তীতে সেগুলো বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ গরীব অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হবে।

এদিকে নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে আটককৃত জাটকা বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। লঞ্চঘাট এলাকায় কয়েকটি সূত্র থেকে জানাযায় নৌ পুলিশের এস আই শহিদুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জন্য কিছু মাছ সরিয়ে ফেলেন এবং বি. আই. ডব্লিউ. টি এ কেন্টিন, মালেক বেপারীর খাবার হোটেলে বড় সাইজের একধিক ইলিশ বিক্রি করেন।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কেন্টিনে মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় রান্নঘরের ভেতর কয়েকজন নারী পুরুষ মিলে ইলিশ মাছ কাটছেন। খবর নিয়ে জানাযায় তারা সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মাছ কাটছেন এবং বেশ কিছু কাটা মাছে লবন ও হলুদ মেখে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে খাবার হোটেল কৃর্তপক্ষের সাথে আলাপকালে তারা অনেকটা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমরা এগুলো চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট থেকে দাম কম পেয়ে একসাথে কিনে এনেছি।’

এ সময় খাবার হোটেল কর্তৃপক্ষের একজন প্রতিবেদককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

এমন অভিযোগের ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্মে হাবিবা বলেন, ‘আমরা সেটা তদন্ত করে অবশ্যই দেখবো। যদি তা সত্যি হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ব্যাপারে নৌ পুলিশের এস আই শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা মাছ কিনেছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। পুলিশ এ ধরনের কাজে জড়িত নয়।’

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬: ৫০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share