Monday, April 13, 2015 10:00:37 PM
আশিক বিন রহিম :
জাতীয় মাছ ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পদ্মা ও মেঘনায় জাটকা নিধন বন্ধে তৎপর রয়েছে সরকারের নিদের্শে প্রশাসনের লোকজন। অথচ কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না জাটকা নিধন।
চাঁদপুর হয়ে প্রতিদিনই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য জেলায় পাচার হচ্ছে লাখ লাখ টাকার জাটকা ও ইলিশ। অসাধু জাটকা ও ইলিশ ব্যবসায়ীরা মাছ পাচারের কাজে ব্যাবহার করছে স্প্রীডবোট ও উচ্চ ক্ষমতাস¤ন্ন একপ্রকার ছোট নৌকা। আর যা করা হচ্ছে প্রাশসনের চোখ ফাঁকি দিয়েই।
জানা যায়, প্রতিদিন সন্ধা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাইমচর থেকে শুরু করে আনন্দ বাজার পর্যন্ত আড়তগুলো থেকে মাছ বোঝাই করে স্প্রীডবোট নিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পাচার করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাইমচর, কাটাখালি, গোবিন্দিয়া, হরিণা থেকে স্পীডবোটযোগে ও মোহনপুরের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে মাছ বোঝাই করে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ পাচার করা হচ্ছে। এছাড়া বহরিয়া রনাগোয়াল, দোকানঘর, পুরাণবাজার, আনন্দ বাজার, রাজরাজেস্বর, আলুর বাজার থেকে বেশ কয়েকটি স্পীডবোট ও মোহনপুরের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন নৌকাগুলো মাছ পাচার করে।
স্পীডবোটে মাছ পাচারের অভিযোগে পুরাণবাজারের এক ব্যাক্তির মালিকালাধীন স্পীডবোটসহ দুটি বোট চাঁদপুর কোস্টগার্ড আটক করে। পরে সেগুলো ছেড়ে দেয়ায় স্পীডবোটে জাটকা ও ইলিশ পাচার আবারো বেড়ে যায়। এছাড়া চাঁদপুর মাছঘাটে দুই মৎস্য ব্যবসায়ী ১টি স্পীডবোট মাওয়া থেকে ভাড়া এনে নারায়ণগঞ্জে জাটকা পাচার করে ফেরার পথে পাগলার কোস্টগার্ড সে বোটটি আটক করে। এসময় স্পীডবোটে থাকা তিনজনের কাছে মাছ বিক্রির ৯১হাজার টাকা জব্দ করা হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট ও মৎস কর্মকার্তার উপস্থিতিতে তাদের অর্থদন্ড করে ছেড়ে দেয়। কিছুদিন মাছ পাচার বন্ধ থাকলেও প্রশাসন স্পীডবোটগুলো আটক না করায় আবারো মাছ পাচার বেড়ে গেছে।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/এবিআর/২০১৫
নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes