ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ ও রেনু পোনা উৎপাদনে চাঁদপুরের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। ডাকাতিয়া নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্পের প্রদর্শনী চাঁদপুরেই প্রথম করা হয়। এই ভাসমান মাছ চাষ সারাদেশে চাঁদপুর এখন মডেল।
দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার জাল ও রেনু সরবরাহের পাশাপাশি এখন চাঁদপুর থেকে রেনু মাছ সংরক্ষনের জন্য জাল ও সরঞ্জাম সৌদি আরবের মক্কায় যাচ্ছে।
বুধবার বেলা ১২টায় চাঁদপুর শহরের প্রধান ব্যবসায়িক এলাকা পুরানবাজার গোয়ালপট্টির মেঘনা জালঘর থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যের রাসেল নেট ও ফিল্টার নেট যাকে ঘের জাল বলা হয় সৌদিয়ান এক নাগরিক সংগ্রহ করেছেন।
পুরাণবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবুল বাসার বাসু হাজী যখন সৌদির মক্কায় ছিলেন তার কফিল ছিলেন সৌদি নাগরিক সালিম কাতায়ানি। মূলত বাসু হাজীর সাথে যোগাযোগ করে সৌদি ওই নাগরিক মাছ চাষের জাল এবং মাছের রেনু সংগ্রহ করে তার দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য গত ২২ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন।
সেখান থেকে চাঁদপুর এসে প্রয়োজনীয় জাল ও মাছ চাষের উপকরণ খরিদ করেন। সৌদি নাগরিক সালিম কাতায়ানি জানান (দোভাষী হিসেবে বাসু হাজী কথা বলে ) সৌদির মক্কাতে তিনি তার নিজের জায়গায় মাছ চাষের জন্য কৃত্রিম একটি পুকুর বানিয়েছেন। সেখানে রুই, কাতল ও মৃগেল মাছ চাষ করবেন এবং সেই মাছের রেনু সংরক্ষণ রাখবেন।
অক্সিজেনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত পদ্ধতিতে রেনু পোনা চাঁদপুর থেকেও তার দেশে নিয়ে যাবেন তিনি। অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি সৌদি ওই নাগরিক মাছ চাষ প্রকল্পটি হাতে নিয়ে পরীক্ষা মূলক প্রকল্পের বাস্তব রূপ দিতে তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে তার পক্ষে দোভাষী বাসু হাজী জানিয়েছেন।
অপর দিকে মেঘনা জাল ঘরের মালিক হাজী জাকির হোসেন খান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমরা কুমিল্লার ফরিদ ফাইবার কোম্পানির উৎপাদিত জাল দিয়ে খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্পটি প্রথম চাঁদপুরে এনেছি। সে প্রকল্প সফল হওয়ায় এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ লাভজনকে পরিণত হয়েছে। বেড়ে গেছে মৎস্য চাষীর সংখ্যা। সৌদি নাগরিক তার প্রকল্পের জন্য এখান থেকে ২৩ হাজার টাকার জাল নিয়েছেন। প্রকল্প সফল হলে তারা আরো জাল এখান থেকে তাদের দেশে নিবেন।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৫৫ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ