চাঁদপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে কালু ডালি নামে(২৪)বছরের যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চাঁদপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করার পরেও ৮ দিনে যুবক কালু ডালির সন্ধান মিলেনি।
কালুর পরিবারের লোকজন সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরেও তার সন্ধান না মিলায় আত্মনাদ করতে থাকে।
নিখোঁজ হওয়া কালু ঢালী চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩ নং হানারচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গোবিন্দা গ্রামের ঢালিবাড়ি তাজুল ইসলাম ঢালীর ছেলে। কালু ডালির ভাই জাকির ঢালী জানায়, ২ ডিসেম্বর বিকেলে ছোট ভাই কালু তার মোবাইল থেকে ফোন করে জানায় পুলিশ তাকে আটক করেছে। ছাড়িয়ে নিতে হলে টাকা নিয়ে আসতে হবে কোথায় কখন তা বলেনি।
বড় বোনকে সন্ধ্যায় ফোন করে জানায়, পুলিশ তাকে একটি রুমে আটকে রেখেছে কিছুক্ষণ পর কোর্টে চালান করে দিবে। টাকা নিয়ে পাঠান ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। তারপর থেকেই মোবাইল বন্ধ, ঘটনার সাত দিন পর তার ব্যবহৃত ০১৮৯০৭৬৪৭৮৪ মোবাইলটি খোলা থাকলেও কেউ রিসিভ করেনি কথা বলেনি।
কালু ডালী ঢাকা গুলিস্তান ফুটপাতে গেন্ডারি মেশিন বসিয়ে ব্যবসা করে। চাঁদপুর গ্রামের বাড়ি বেড়াতে এসে ঢাকা যাওয়ার পথে সে নিখোঁজ হয়। এদিকে জানা যায়, কালু ডালি ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বালিয়া তার বড় বোনের বাড়ির প্রতিবেশী রুহুল আমিন খানের মেয়ে সনিয়া(১৮) সাথে প্রেম করে। গত ১ বছর পূর্বে বরিশাল হাকিমউদ্দি নামক স্থানে আত্মীয়ের বাড়িতে সোনিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মেয়ের বাবা রুহুল আমিন চাঁদপুর মডেল থানায় কালু ঢালীকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করে। ঘটনার ১২ দিন পর পুলিশ মেয়ে ও ছেলেকে বরিশাল থেকে ধরে নিয়ে আসে। পরে কালু ডালিকে আদালতে পাঠানোর পর ৩ মাস জেল খেটে বের হয়ে আসে।
সেই মামলার জের ধরে প্রতিপক্ষের কালকে অপহরণ করে নিয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তার পরিবারের লোকজন। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলেই এর রহস্য উদঘাটন করে নিখোঁজ কালু ডালীকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
চাঁদপুর মডেল থানার এসআই রাশেদ জানান, নিখোঁজ হওয়ার কালু ডালীকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। তাকে পুলিশ আটক করেনি সব তদন্ত করে দেখা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তার সন্ধান পাওয়া যাবে।
স্টাফ করেসপন্ডেট