চাঁদপুর

‘চাঁদপুরের ত্রিপুরা সম্প্রদায় অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে’

‘আমরা ত্রিপুরা জাতিরা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেইনি। নিতান্তই কৃষক পরিবারে আমাদের জন্ম। চাঁদপুরের ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকেরা অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে ‘

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট’স্ ফোরাম চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বক্তরা এসব কথা বলেন।

সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানপূর্বক আলোচনায় ত্রিপুরা স্টুডেন্ট’স ফোরাম জেলা শাখার সভাপতি মাচং পলাশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও সংবর্ধনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মিঠুন ত্রিপুরা ও সুমি ত্রিপারার যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের যুগ্ম-পরিচালক মাচাং দীনময় রোয়াজা, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিএম হান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক ফেরদৌশ মোরশেদ জুয়েল, ত্রিপুরা জাতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি গিত্তরঞ্জন ত্রিপুরা, যুগ্ম সম্পাদক ভানু ত্রিপুরা, সিমা ত্রিপুরা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘আমরা ত্রিপুরা জাতিরা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেইনি। নিতান্তই কৃষক পরিবারে আমাদের জন্ম। অনেক কষ্ট করে বাবা মা আমাদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। এখনো আমাদের অনেক কিছুই জানার ও শেখার রয়েছে। আমাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। চাঁদপুরে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকেরা অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এই সম্প্রদায় শতশত বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের মধ্যে দুটি স্থান রয়েছে। কেউ পাহাড়ি ত্রিপুরা, আবার কেউ সমতল ভূমির ত্রিপুরা। বাংলাদেশ একসময় ভারতের ত্রিপুরার একটি অঙ্গরাজ্য ছিলো। তখন বাংলাদেশীরা ত্রিপুরা জেলা লিখতে হয়েছে।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘চাঁদপুরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি মেঘনা নদীর সাথে যুদ্ধ করে বাস করছে। বহুবার মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়ে এখন বেড়ি বাঁধের উপর বাস করছে। আগামি পঞ্চাশ বছর পর ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি গল্পের মধ্যে থাকতে হবে। কেনো না তাদের শিল্প সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে।’

বক্তারা উদাহারণ টেনে বলেন, ‘একটি বাগানে হরেক রকমের ফুল গাছ না থাকলে ওই বাগান সুন্দর দেখায় না। বাগান থেকে ছোট গাছগুলো কেটে ফেলি তাহলে বাগানের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। আর সে বাগান যারাই যখন ক্ষমতায় আসে সেই সরকার। আর আমরা সাধারণ মানুষ হলাম সেই বাগানের ফুল।’

আলোচনা শেষে স্টুডেন্ট’স্ ফোরাম চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে এসএসসি, জেএসসি ও জেডিসি পরিক্ষায় ২০জন কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা জানানো হয়।

সবশেষে ত্রিপুরা শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

About The Author

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
Share